Crss colum

Monday, November 20, 2017

গল্প -ভাগ‍্যবদল

গল্পঃ - ভাগ্য বদল।
মানুষের যখন অনেক দুঃখ হয় তবে ই সে জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবে।
জীবন খুবই আশ্চর্য ঘটনা র সম্মূখীন করে দেয় মানুষ কে ।রবি যথেষ্ট দৃঢ়চেতা । মৃত্যু র কথা কখনো ই সে চিন্তা করেনি।সে তার অনেক দুঃখের মধ্যেও বাঁচতে চেয়েছিলো। ছোট বেলা থেকেই অসীম কষ্টের সাথে বড় হয়েছে। বাবা মারা গিয়েছিল ছোটবেলায় ।মা অনেক কষ্টকরে রবিকে মানুষ করেছে।মা খুব ভালো সেলাই করতেন । অসময়ে সেই সেলাই বোনা ই সংসার টাকে টিকিয়ে দিলো । কোনরকমে মা ছেলের সংসার চলতে লাগলো। রবি পড়াশোনা য় খুবই ভালো  ছিল। একটি র পর একটি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে হতে রবি একসময় বি এসসি   পাশ করলো। রবি এরপরও মাষ্টার্স ডিগ্রী করতে চেয়েছিলো  । কিন্তু মায়ের দিকে চেয়ে আরো পড়বো এই কথাটা বলতে পারলো না ।তার পড়াশোনার খরচ যোগাড় করতে ,  মা দিন রাত  পরিশ্রম করেছেন । রবি পড়াশোনা করার জন্যে এতদিন ভালো করে মায়ের দিকে চেয়ে দেখেনি। আজ দেখলো । মায়ের শরীর একেবারে ভেঙ্গে গেছে । তাই সে “আরও পড়বো” না বলে ,'মা এবার থেকে আমি চাকরি করব' এই কথাটা বললো।
কিন্তু চাকরি কি এতো সহজে ই জোটে ? অনেক চেষ্টার পর একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি তে ৬০০০ টাকা মাইনের  একটা চাকরি জুটলো। কিন্তু রবি র  এমনই কপাল ,এই চাকরি পাবার এক মাসের মধ্যে মা মারা গেলেন। মা ছাড়া রবির আর কেউই ছিলো না পৃথিবীতে। রবি একা হয়ে গেল।
একাকীত্বের জীবন। সারাদিন কাজ আর রাতে বাড়িতে ফিরে ঘুম। বেশ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিনের ঘটনা তার জীবন ওলট-পালট করে দিল। মিথ্যা টাকা চুরির অপরাধে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। চুরির অপবাদ সহ্য হলো না। সে ভাবল এই জীবন রেখে কি হবে? দুঃখ ছাড়া এই জীবনে তার আর কিছুই পাওয়ার নেই । এই জীবন রাখার চেয়ে শেষ করে দেওয়া ভালো। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল আজকেই তার জীবন শেষ করে দেবে। শহরের এক পাশে নদীর ধারে একটি পোড়ো বাড়ির সন্ধান রবি জানতো । সেখানে কেউ থাকেনা। রবি ঠিক করল ওখানে গিয়ে  বাড়িটির তিনতলা থেকে নদীতে লাফ  দিয়ে জীবন শেষ করে দেবে। রবি সাঁতার জানত না।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রবি সেই বাড়িটির তিন তলার  ছাদে উঠলো। তখন সন্ধ্যা হয় হয় । কেউ কোথাও নেই। রবি সেই বাড়িটির ন‍্যাড়া  ছাদের কিনারায় দাড়িয়ে নিচের দিকে তাকালো। অনেক নিচে খরস্রোতা নদী বয়ে চলেছে । রবি চোখ বুজে ' মা তোমার কাছে আসছি ' এই বলে নীচে লাফ দিল। নীচে নদীতে পড়বার আগেই , রবি  জ্ঞান হারিয়ে ফেললো । জ্ঞান হারাবার ঠিক আগে রবি  ডান হাতের আঙুলে শক্ত মতো কিছু একটা বস্তু অনুভব করল ।
রবির যখন জ্ঞান ফিরল, দেখল সে নদীর ধারে মাটিতে শুয়ে আছে । চারিদিকে অন্ধকার। কোথাও কিছু দেখা যাচ্ছে না। শুধু নদীর জলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রবি শুয়েই  রইল । শরীরে অসহ্য ব্যাথা। হঠাৎ চোখের সামনে একটা নীল আলোর বিন্দু দেখা দিল। রবি আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইল। নীল আলোর বিন্দু টা ক্রমশ বড় হতে লাগলো । রবি অবাক হয়ে গেল। এক সময় আলোর বিন্দুটি থেকে একটি মানুষের মূর্তি দেখা গেল। রবি  দেখলো মানুষটিকে হুবহু  তার মত দেখতে। সেই আলোর মধ্যে থাকা মূর্তি টি তার দিকে চেয়ে হাসলো। রবি প্রশ্ন করল ‘তুমি কে?’। সেই মূর্তি টি উত্তর দিল‘আমি রবিন।’ ‘আমি অন্য জগৎ থেকে  আসছি’। রবি পুনরায় প্রশ্ন করল‘তার মানে ?’। রবিন উত্তর দিলো‘তার মানে খুব স্পষ্ট। তোমাদের বিশ্ব তিন মাত্রার। আমরা ছয়  মাত্রার বিশ্বে থাকি। আমরা তোমাদের চেয়ে অনেক উন্নত। আমাদের বিশ্বে আমি তোমারি প্রতিরূপ । আমাদের বিশ্বে সময় আরো ধীরে চলে ।প্রতিটি মাত্রা র বিশ্ব একে অপরের মধ্যে পিঁয়াজের খোলা র মতো রয়েছে।শুধু মাত্রা ভিন্ন হওয়ার জন্য ঐ সব মাত্রার অবস্থান কারী প্রাণীরা যা বুঝতে পারে না। তারা ভাবে অন্য জগত বলে কিছু নেই। আসলে বিভিন্ন dimension অসংখ্য প্রাণী জগৎ দ্বারা পরিপূর্ণ। তোমাদের এখানের 100 বছর মানে আমাদের জগতের এক বছর সময়। আজ এক মুহূর্তের জন্য তোমার তিন মাত্রার জগত ও আমার ছয় মাত্রার জগত এর সাথে সংযুক্ত হয়ে গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় আমার একটি দুর্লভ ও গুরুত্বপূর্ণ বস্তু এই জগতে তোমার কাছে চলে আসে। কারন এই জগতে তুমি আমারই প্রতিরূপ। এই দুর্লভ বস্তুটি হল আমারই আবিষ্কৃত সৌভাগ্য আংটি।  এটি এখন তোমার ডান হাতের অনামিকায় শোভা পাচ্ছে। রবি তৎক্ষণাৎ তার ডান হাত এর দিকে চেয়ে দেখল তার ডানহাতে একটি লাল রংয়ের ধাতব আংটি।
রবিন পুনরায় বলল , এই আংটি টি আমি এখনো সম্পূর্ণ রূপে পরীক্ষা করে উঠতে পারিনি। ভালোই হলো, আমার নিজের তৈরি probability analyzer বা সম্ভাবনা বিশ্লেষক যন্ত্রটি আমায় জানাচ্ছে যে তোমার ভবিষ্যৎ খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি এই জগতে এসেছি আমার হারিয়ে যাওয়া সৌভাগ্য আংটি ফেরত নিয়ে যেতে। কিন্তু এই আংটি ফিরত নিয়ে গেলেও , তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমাকে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি আমার আকাঙ্ক্ষিত কাজ নিশ্চিতভাবে করবে। তারচেয়ে এই ভালো যে এটি তোমার কাছেই থাক। আমি আমার জগত থেকে লক্ষ্য রাখবো এই আংটি টি কিভাবে তোমার জীবন পরিবর্তন করে।  তোমার জীবনে যখন এটির প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে তখন এটি আমি এটি ফিরত নিয়ে যাবো।

এরপর নীলাভ আলোটি ও তার মধ্যে থাকা মূর্তিটি মিলিয়ে গেল।
এদিকে পূর্ব আকাশ লাল হয়ে উঠেছে। রবি উঠে দাঁড়ালো। সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। নদীতে জলের ধারে গিয়ে মুখ চোখে জল দিল। এরপর বাড়ির পথ ধরল। ঘরে যখন পৌঁছল তখন খিদেতে পেট চুঁইচুঁই করছে। মুড়ির টিন থেকে একটা বাটিতে মুড়ি বার করে খেতে লাগলো। এমন সময় বাইরে থেকে কেউ একজন “ও রবিদা” বলে ডাকলো। রবি ঘর থেকে বেরিয়ে দেখল মোড়ের মাথায় লটারির টিকেট বিক্রেতা অমর দাঁড়িয়ে আছে। অমর কে বেশ উত্তেজিত মনে হচ্ছে। অমর হাঁস ফাঁস করে যা বলল তার মানে দাঁড়ায় এই যে কয়েক দিন আগে অমর রবিকে জোর করে যে লটারির টিকেট গিয়েছিল আজ তার result বেরিয়েছে। রবি প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। পুরো 5 লাখ টাকা। tax কেটে হাতে 300000 পাবে। রবি কিছুক্ষণের জন্য হতম্ভব হয়ে গেল। একবার নিজের ডান হাতের অনামিকার দিকে চেয়ে দেখল। হাতের আংটি টি যেন আরো লাল দেখাচ্ছে।
কয়েক দিনের মধ্যেই রবি পুরস্কারের টাকাটা পেয়ে গেল। টাকা পাওয়ার পর রবি কয়েক দিন ভাবল সে কি করবে। সে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরীর কাজ খুব ভালো করে জানে। সে ঠিক করল একটা ছোটখাটো প্যাথলজিক্যাল laboratory খুলবে। এমনিতে এই অঞ্চলে প্যাথলজিক্যাল laboratory র অভাব রয়েছে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। কয়েক দিনের মধ্যেই নিজের বাড়ির সামনের ঘরে মায়ের নামে একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি খুললো। মাস তিনেক যেতে না যেতেই সেটা রমরমিয়ে চালু হয়ে গেল।
একবছর বাদের কথা। রবির এখন দুটি ব্যবসা। একটি laboratory ও অন্যটি গাড়ির ব্যবসা। একদিন রবি এক ডাক্তারের চেম্বারে দেখা করতে গিয়েছিল, সেখানে দেখল অনন্যা বসে আছে। রবি আগে যেখানে কাজ করতো সেই  ল্যাবরেটরির মালিক সুরজিৎ বাবুর মেয়ে অনন্যা। কাজের সূত্রে রবি র সাথে অনন্যার পরিচয় ছিল। যদিও তখন ছিল মালিক ও কর্মচারীর সম্পর্ক । রবি অনন্যা কে দেখে প্রশ্ন করল “তুমি এখানে?”
অনন্যা ম্লান হেসে উত্তর দিল “বাবার খুব অসুখ”। রবি উদ্বেগের সঙ্গে প্রশ্ন করল “কেন কি হয়েছে?”। অনন্যা বলল “cancer। তুমি পারলে একবার এসো। বাবা একবার তোমার সাথে দেখা করতে চায়।”  রবি বলল “আজ বিকালে যাবো তোমাদের বাড়িতে”।
ডাক্তার খানা থেকে বেরিয়ে রবির মন খারাপ হয়ে গেল । সন্ধ্যাবেলা সুরজিৎ বাবুর বাড়ি পৌঁছে কলিং বেল টিপতে অনন্যা দরজা খুলে দিল। অনন্যার মা আগেই মারা গিয়েছিল। বাবা ও মেয়ের সংসার। অনন্যা সাথে শোবার ঘরে গিয়ে দেখল সুরজিৎ বাবু শুয়ে আছেন। চেহারা একদম কঙ্কালসার হয়ে গেছে। রবিকে দেখে উঠে বসার চেষ্টা করলেন। রবি বলল “উঠতে হবে না। আপনি যা বলবার শুয়ে শুয়েই বলুন।” সুরজিৎ  বাবু বললেন, “রবি তুমি আমায় ক্ষমা কর। আমি অন্যায় ভাবে তোমায় অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমি একবারও তোমায় অপবাদ দেওয়ার আগে জানবার চেষ্টা পর্যন্ত করিনি ‘তুমি দোষী কিনা।’ পরে বুঝতে পেরেছি তুমি আদৌ চুরি করনি। চুরিটা অন্যজন করেছিল। এবং আমায় ভুল বুঝিয়ে তোমার নামে অপবাদ দেয়ানো হয়েছিল। তুমি আমার ক্ষমা কর। তুমি চলে যাবার পর আমার ব্যবসা ক্রমশ নিচের দিকে গেছে। আজ আমার ক্যান্সার হয়েছে। আর কয়েকদিন মাত্র আমার আয়ু। তুমি আমার একটি উপকার কর। তুমি নতুন করে আমার ব্যবসার হাল ধর। এই জগতে আমার মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। তুমি যদি আমার ব্যবসা ও আমার মেয়ে অনন্যার দেখা শোনা র ভার নাও তবে আমি নিশ্চিন্তে মরতে পারি।” এতগুলি কথা বলতে গিয়ে  সুরজিৎ বাবু হাঁপিয়ে  উঠলেন। রবি তাড়াতাড়ি তাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলল “আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।”
দুই বছর পরের কথা রবি তার বিবাহিত স্ত্রী অনন্যা র সাথে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলো। এখনো অনেক রাত্রে অনন্যা ঘুমিয়ে পড়ার পর, রবি ঘুম না আসায় বাইরে বারান্দায় বসে ছিল। হঠাৎ সামনে নীল আলোর বিন্দু দেখা দিল। আলোর বিন্দু কি ক্রমশ বড় হয়ে, তারমধ্যে থেকে একটি মুর্তি দেখা দিল। রবি চিনতে পারল।
রবিন  রবি কে প্রশ্ন করল “কেমন আছো?” রবি উত্তর দিল “ভাল আছি ।”
রবিন বলল “তোমার সময় পাল্টিয়ে গেছে কি ?”  রবি বলল “হ‍্যাঁ ।” “কিন্তু কিভাবে বুঝব আমার ভাগ্য অন্যরকম ছিল”। রোবিন উত্তর দিল “আমার সৌভাগ্য আংটি তোমার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। আসলে তুমি সেই রাত্রে নদীর জলে ডুবে মারা গিয়েছো। কিন্তু নদীতে পড়বার আগে আমার তৈরি সৌভাগ্য আংটি তোমার হাতে আসায় তুমি বেঁচে যাও। এই দেখো বিকল্প ইতিহাস কি বলছে,”। এই বলে রবিন নিজের কাছ থেকে একটি কাগজ বের করে রবির হাতে দিল। রবি দেখলো সেটি একটি ডেথ সার্টিফিকেট। যাতে পরিষ্কার করে রবি র নাম লেখা আছে। তারিখটা সেইদিনের। এছাড়া একটি খবরের কাগজের কাটিং রবিন রবিকে দিল। যাতে একটি মৃতদেহের  ছবির  নিচে  হেডিং লেখা আছে জলে ডুবে আত্মহত্যা করেছে রবি দাস নামে এক যুবক। ছবির মৃতদেহ টি হুবহু রবির মতোই দেখতে।” রবি কাগজগুলো ফিরত দিয়ে , আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করল “কিন্তু এটি কিভাবে কাজ করে?”
রবিন উত্তর দিল “প্রত্যেকটি ঘটনারই ঘটবার  বা ,না ঘটবার সম্ভাবনা একই সাথে কাজ করে। আমার আংটি আসলে খুবই সূক্ষ্ম উন্নত মানের একটি গেজেট,  যেটি ধারণকারীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সম্ভাবনা টি কে বাস্তবায়িত করে। এখন  আমি আমার যন্ত্রটি তোমার কাছ হতে ফিরিয়ে নিতে এসেছি। আমার সম্ভাবনা বিশ্লেষক জানাচ্ছে তোমার ভবিষ্যৎ জীবনে কোন অসুবিধা হবে না। তাই তুমি এবার আমার আংটি টি ফেরত দাও।”
রবি হাসি মুখে আংটি টি খুলে রবিনের হাতে দিয়ে বলল “আবার কবে আমাদের দেখা হবে ?”
রবিন উত্তর দিল “ আমি আর তুমি আলাদা সত্ত্বা নই।   প্রতি ব্রহ্মাণ্ড এ , প্রতি টি মাত্রায় আমরাই আছি আলাদা শরীরে । কিন্তু আসলে আমরা একটাই চেতনা।  একটি ই চেতনা প্রতি ডাইমেনশন এ  আলাদা আলাদা শরীর ধারণ করে এই জগত কে উপভোগ করি। কিন্তু আমরা ঘুমের মধ্যে  পরস্পরের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে নিজেদের চৈতন্য কে আরো উন্নত করি।”
“বিদায় , হয়তো আবার দেখা হবে ভবিষ্যতে।”
নীলাভ আলোটি ও তার মধ্যে থাকা রবিন ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল।”
পিছনে খুট করে আওয়াজ পেয়ে   রবি চেয়ে দেখল অনন্যা ঘুমিয়ে থেকে উঠে এসেছে। অনন্যা ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো “কার সাথে কথা বলছিলেন ?”  
রবি উত্তর দিল “নিজের সাথে। চলো ঘরে যাই ভিতরে যাই , বাইরে  ঠান্ডা পড়ছে ।” (শেষ ) ।

No comments:

Post a Comment