Crss colum

Tuesday, February 20, 2018

GOD exists? ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি আছে ?

ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি আছে ?
_________________
GOD exist? ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি আছে ?
ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে না নেই এটা এক অতি বিতর্কিত বিষয়। কেউ বলে ঈশ্বর আছেন আবার কেউ বলেন ঈশ্বর নেই।
কোনটি সত্য ?
আজ আমরা সেটি যুক্তি তর্কের আলোকে ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিচার করে দেখবো।
আমরা অনেকেই ঈশ্বর মানি। কিন্তু কখনো নিজেরাই তলিয়ে অনুসন্ধান করে দেখি না আমাদের চিন্তা ধারা সঠিক কিনা।
ঈশ্বর সম্পর্কে যে ধারণা আপনার মনে আছে তা কি আদৌ আপনার ?
আপনি কি ঈশ্বর সম্পর্কে এই ধারণা বোধ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

না।
যখন একটি শিশু জন্ম গ্রহণ করে তখন সে শুধুই একটি মানুষ।  তার কাছে ঈশ্বরের কোন আলাদা মূল্য নেই।  বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথেই এসব  ধারণা আপনার মধ্যে প্রবেশ করানো হয়েছে। আপনার মা , বাবা, পরিচিত লোকজন , পন্ডিত ,মৌলভী , পাদ্রী ইত‍্যাদী মানুষ জন তিল তিল করে আপনার মনে ধীরে ধীরে ঈশ্বর সম্পর্কে একটি ধারণা বোধ তৈরি করেছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি হয়েছে আপনার অজান্তেই।
অর্থাৎ যে ধর্ম  ও যার মান‍্যতা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে আপনি লড়াই ঝগড়া করেন এমনকি অন‍্যকে মারতে পর্যন্ত তৈরী থাকেন , সেটা আদৌ আপনার নয় । সেই ধর্ম আপনি নিয়ে জন্ম নেন নি। আপনি তো পৃথিবীর অজস্র প্রাণীদের মতো শুধুই একটি মানব শিশু রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

আপনি ঈশ্বর কে এই জন্য মানেন ,কোন একজন বহুবছর আগে ঈশ্বর কে দেখেছিলেন অথবা কোন বিশেষ বইতে ঈশ্বরের কথা লেখা আছে।
আমি একথা বলবো না ঈশ্বর নেই।
কিন্তু আমি একথা বলবো আপনি সমস্ত ক্ষমতা নিয়েই জন্মেছেন। যদি কখনো কোন মানুষ ঈশ্বরের দর্শন করে থাকেন তবে তা আপনি ও করতে পারেন। যে ক্ষমতা ওনার মধ্যে ছিল , সেই একই ক্ষমতা আপনার মধ্যে ও আছে। কারণ আপনি ও একজন মানুষ।
সত্যি কে কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না। সত্যি কে শুধুমাত্র জানার ইচ্ছা রাখতে হয়।
আপনি যদি মানেন ঈশ্বর আছে , তবে সেটা বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূল।কারণ আপনি ঈশ্বর কে দেখেননি।
আবার বিজ্ঞান যদি আপনাকে বলে ঈশ্বর নেই , তবে সেটাও ভূল।কারণ বিজ্ঞান এখনো পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি যার  সাহায্যে বলা যায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই।

তাহলে আসল সত্য কি?
আসুন একটু সবকিছু আগাগোড়া বিশ্লেষণ করে দেখি।

ঈশ্বর আছে না নেই এই সত্য যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে  সন্ধানী বনুন। ধর্ম ও বিজ্ঞান উভয় দিক থেকেই নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
ঈশ্বরের কথা ভাবলেই আপনার চোখের সামনে এক মহা শক্তিশালী কোন কিছুর কথা মনে হয়।যে আমাদের ভালো কাজের পুরস্কার দেয় ও খারাপ কাজের শাস্তি প্রদান করে।
কিন্তু আমাদের এই ধারণা আমাদের নিজেদের তৈরী নয়।অন‍্যের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত।
যখন আমরা জন্ম নিই এবং বড় হতে থাকি তখন আমরা মানুষের দ্বারা সৃষ্ট নয় এমন অনেক কিছুর সাথেই পরিচিত হই।যেমন গাছপালা, পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, জীবজন্তু, আকাশ ইত‍্যাদী। আমরা ভাবি যেহেতু এগুলো কোন মানুষ সৃষ্টি করে নি , তাহলে যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন তিনি নিশ্চয়ই খুব শক্তিশালী । তিনি ঈশ্বর। তাকে আমরা গড,কৃষ্ণ, আল্লাহ,জিহোভা এইসব নাম প্রদান করে থাকি। যখন আমরা তার ছবির কল্পনা করি তখন তাকে আমরা নিজেদের রূপ প্রদান করি। এই কারণেই দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এক এক প্রজাতির মানুষ তাদের নিজেদের মতো ঈশ্বরের রূপ দিয়েছেন। আফ্রিকার নিগ্রো দের ঈশ্বর তাদের মতো ই দেখতে। আবার শেতাঙ্গ দের ঈশ্বর শেতাঙ্গ হয়। আবার ভারতীয় দের ঈশ্বরের মুখ ভারতীয় হয় , চাইনিজ হয় না। চাইনিজ দের ঈশ্বর চাইনিজ হয়।
আমার তো মনে হয় ঈশ্বর আমাদের রূপ দিয়েছেন কিনা জানিনা, তবে ঈশ্বর কে আমরা আমাদের রূপ দিয়েছি।
দুনিয়া য় কিছু ধর্ম আছে যারা ঈশ্বর মানে না। আবার কিছু ধর্ম আছে যারা  ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে। কিছু ধর্ম ঈশ্বরের রূপ কল্পনা করে, কিছু বলে ঈশ্বর নিরাকার।
কোনটি ঠিক আর কোনটা বেঠিক একথা ভাবতে ভাবতে মাথা গুলিয়ে যায়।
আমার তো মনে হয় সবকটি ধর্ম অর্ধসত্য অথবা মিথ্যা ধারণা সৃষ্টি করছে ।
এবার আসি স্বর্গ ও নরকের কথায়।
আপনি পরীক্ষা য় ভালো রেজাল্ট করলে আপনার মা বাবা খুশি হন, পুরস্কার দেন। আবার রেজাল্ট খারাপ হলে আপনি বকা খান কখনো কখনো মার খান। আপনি মার খেতে ভয় পান তাই আপনি চেষ্টা করেন যাতে পরীক্ষা র রেজাল্ট খারাপ না হয়।
এই ধারণা অনেকটা স্বর্গ নরকের ধারণা র সঙ্গে মিল খায়।
আমাদের ধর্ম গুলো আমাদের শেখায় ঈশ্বর আমাদের দিকে সর্বক্ষণ দৃষ্টি দিয়ে আছে। আমরা খারাপ কাজ করলে আমাদের মৃত্যুর পর নরকে পাঠানো হবে। যেটা খুবই ভয়ঙ্কর স্থান। আবার ভালো কাজ করলে আমাদের স্বর্গে পাঠানো হবে , যেটা অতি মনোরম আনন্দময় স্থান।
আগে আমরা অতি বৃষ্টি হলে ভাবতাম ঈশ্বর আমাদের উপর নারাজ হয়েছেন , আবার খরা বা শুখা হলে ও ভাবতাম ঈশ্বর আমাদের উপর নারাজ হয়েছেন।
আজ বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে  আমরা বুঝতে পারছি জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক নেই।
প্রায় সব ধর্ম মনে করে ঈশ্বর এই পৃথিবীর তথা বিশ্বের সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি ধর্মে ঈশ্বরের এই সৃষ্টি আলাদা আলাদা  বর্ণনা দেয়।
কিন্তু আজ বিজ্ঞান আমাদের জানায় যে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে 1400 কোটি বৎসর আগে বিগ ব্যাং এর প্রভাবে।
কেউ কেউ বলে বিগ ব্যাং কখনো ঘটেনি।কারণ এই ঘটনার কোন প্রমাণ নেই।
কিন্তু এই কথা ভূল। আসলে বিগ ব্যাং এর প্রমাণ 'কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব‍্যাকগ্রাউন্ডের’ রূপে উপস্থিত আছে।
বিজ্ঞান একথা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারে বিগ ব্যাং অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আজো বিজ্ঞান বলতে পারে নি বিগ ব্যাং কেন ঘটেছিল।
বিজ্ঞান বলে যে বিগ ব্যাং এর আগে কিছু ই ছিলো না ।আর এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটা বালির কণার থেকেও ছোট ছিলো।
যাকে বলা হয় সিংগুলারিটি। যেটা বিরাট স্পেসে বিন্দুমাত্র।
এবং সেটা একদিন বিস্ফারিত হয়ে এই বিরাট ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি করেছে। যেটা আবার বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ও অসম্ভব। এটা পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মেও অসম্ভব।
থার্মোডাইনামিক্স এর সুত্র বলে ‘something comes nothing’। তাহলে বিগ ব্যাং কিভাবে হলো।বিগ ব্যাং কে কি কেউ তৈরী করলো যাকে আমরা ঈশ্বর বলি।এর জবাব আপাতত বিজ্ঞানের কাছেও নেই। তবে বিজ্ঞানে আস্থাশীল রা বলে বিজ্ঞান একদিন এর ব‍্যাখ‍্যা দেবে।আর ঈশ্বরে আস্থাশীল রা বলে ঈশ্বর বিগ ব্যাং সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরে বিশ্বাসী লোকজন বলে প্রাকৃতিক জটিলতা ঈশ্বরের প্রমাণ। পৃথিবীর আকার গুরুত্ব আকর্ষণ একদম সঠিক তাই পৃথিবীর চারিদিকে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন দ্বারা তৈরী বায়ুমণ্ডল দেখা যায়। পৃথিবীর আকার যদি ছোট হতো তবে মঙ্গল গ্রহের মতো বাযু়ূমন্ডল  উবে যেত। আবার পৃথিবীর আকার যদি বৃহস্পতির মতো বড়ো হতো তবে হাইড্রোজেন বেড়ে যেত। পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম নেওয়া অসম্ভব হতো। কেবলমাত্র পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যার সূর্য হতে সঠিক দূরত্ব, সঠিক আকার , সঠিক গুরুত্ব আকর্ষণ পৃথিবীর মানব , গাছপালা,ও অন্যান্য জীবনের জন্য সঠিক গ‍্যাসের মিশ্রিত বায়ুমণ্ডল তৈরী করেছে।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ও সঠিক । এই সঠিক দূরত্বে র কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা -30° থেকে 120° র মধ্যে ওঠানামা করে।
যদি পৃথিবীর দূরত্ব সূর্যের থেকে আরো কিছু বেশি হতো তবে পৃথিবী থান্ডায় জমে যেত।আর দূরত্ব যদি আরো কিছু কম হতো তবে প্রচন্ড উত্তাপে  সব কিছু জ্বলে যেতো। উভয় ক্ষেত্রেই পৃথিবীতে জীবন সৃষ্টি হতো না।
পৃথিবী প্রতিদিন সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে সূর্যের চারদিকে ঘোরে।ঘোরার সময় নিজের চারিদিকে পাক খেয়ে ভূ পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বজায় রাখে।
পৃথিবীর গুরুত্ব আকর্ষণের কারণে চাঁদের দূরত্ব পৃথিবী হতে সঠিক। সেজন্য পৃথিবীর  মহাসাগর গুলিতে চাঁদের আকর্ষণে জোয়ার ভাটা হয়। এজন্য সমুদ্রের জল এক জায়গায় থেমে থাকে না। আবার জলের নড়াচড়া র কারণে মহাদেশ গুলির ওপর উঠে যায় না।আর জোয়ার ভাটা সমুদ্রের ইকো সিষ্টেম বজায় রাখে। এই গ্রহে উপযুক্ত পরিমাণ জল মজুত আছে যা জীবন সৃষ্টির পক্ষে জরুরী।
এই সব কেবল মাত্র একটা সংযোগ হতে পারে না। এই সব কেউ বানিয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞান মনে করে এইসব কেবলমাত্র এক সংযোগের ফল।
পৃথিবী কেবলমাত্র এমন গ্রহ নয় যাতে এই সংযোগ ঘটেছে।
আমরা বর্তমানে স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে বেশ কিছু গ্রহ আবিষ্কার  করেছি যাতে জীবন ধারণের উপযুক্ত  পরিবেশ আছে। এমনকি জল আছে। বিজ্ঞান এখনো সেই সব গ্রহে যেতে পারে নি , কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে সেই সব গ্রহে যাবার আশা রাখে।
বাইবেল ও কোরান শরীফ এর মতে সব মানুষ ও জানোয়ার একই সাথে সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু আজ আমরা জানি তা নয় । চার্লস ডারউইনের সিদ্ধান্ত কে আপনি মানেন বা না মানেন, একথা তো ঠিক মানুষের জন্মের বহু আগে ডাইনোসর সৃষ্টি হয়েছিল। এবং সময়ের সাথে সাথেই তা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো ডাইনোসরের জীবাশ্ম বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়।
এখন একটা প্রশ্ন কোন ধর্মীয় বইতে (বাইবেল, কোরআন,গীতা )তার  উল্লেখ নেই কেন। যেখানে ঐ বই গুলো পুরো সৃষ্টির রহস্য র বর্ণনা দেয়। সেক্ষেত্রে ডাইনোসরের ব‍্যাপারটা এই আশমানি কিতাব গুলিতে কিছু না উল্লেখ করাটা এক বিশাল ব্লান্ডার।এর একটাই ব‍্যাখ‍্যা হয় । ধর্ম গুলো দাবি করে এই বইগুলো স্বয়ং ঈশ্বর প্রেরিত বা ঈশ্বর সৃষ্ট। কিন্তু আসলে তা নয় এগুলো সম্পূর্ণ ভাবে মানুষ সৃষ্ট ।আর যখন এগুলো সৃষ্ট হয়েছিল তখন ডারউইন তত্ত্ব ও ডাইনোসর ইত‍্যাদীর কথা মানুষ জানতো না।
প্রশ্ন এটাও যে ঈশ্বর সবাইকে দর্শন কেন দেয় না। ইতিহাস বলে যে ঈশ্বর নাকি কেবল নির্দিষ্ট কিছু লোক কেই দর্শন দিয়েছেন। কিন্তু এমন ভেদ ভাব কেন এই প্রশ্ন কি কখনো মনের মধ্যে উঠিয়েছেন ?
তিনি যদি চান যে সব মানুষ তার দেখানো পথে চলুক তবে তার তো উচিত সবাইকে সরাসরি দর্শন দিয়ে বা কোন পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিয়ে মানুষ কে তার পথে চলতে বাধ্য করা।
আধুনিক যুগে অনেকেই আমাদের মস্তিষ্কে র জটিলতা  ও ডি এন এ কে ঈশ্বরের সঙ্কেত বলে মানেন।
কম্পিউটারে সঙ্কেত যেমন 0 ও 1 এই ক্রমে বর্তমান তেমনি আমাদের DNA তে চারটি কেমিক্যাল A,T,G,C এক বিশেষ ক্রমে উপস্থিত হয়ে থাকে।
কোষ কেমন ভাবে কাজ করবে তা নির্ভর করে ঐ কেমিক্যাল গুলো কোন ক্রমে উপস্থিত আছে তার উপর।
মানুষের নিরানব্বই শতাংশ  ডি এন এ প্রায় একই রকমের হয় । তবে আমরা প্রত‍্যেকে একে অপরের থেকে আলাদা হই মাত্র এক শতাংশ আলাদা ডি এন এর জন্য।
মানব চেতনা,নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স ও আত্মার ব‍্যাপারে বিজ্ঞান এখনো কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারে নি।
বিজ্ঞান বলে যে এই ব্রহ্মাণ্ড পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী চলে। কিন্তু যারা ঈশ্বর মানেন তারা বলেন এই নিয়ম বানালো কে? কেনই বা সব কিছু এই নিয়ম মেনেই চলে ? কেনই বা কোন কিছুই আলোর গতিবেগ কে অতিক্রম করতে পারে না?
বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান অনেক উন্নতি সাধন করেছে।এমন অনেক কিছুই বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যেগুলো কিছুদিন আগে পর্যন্ত ঈশ্বরের চমৎকার হিসেবে দেখা হতো।
এখনো অনেক অজানা রয়েছে যার উত্তর বিজ্ঞান এখনো দিতে পারে নি।
কিন্তু তার মানে এই যে এসব ঈশ্বরের শক্তি তে হচ্ছে ?
না ।
এর মানে এই যে বিজ্ঞান এখনো এতটা বিকশিত হয় নি যে ঐ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
যদি ঈশ্বর এই দুনিয়ায় বর্তমান আছেন তবে তিনি নরসংহার কে শেষ করে দেয় না কেন ?
কেনই বা ঈশ্বর শিশু হত‍্যা বন্ধ করতে পারেন না ?
ঈশ্বর কোথায় থাকেন যখন তার বানানো লোকজন তার নাম নিয়ে অন‍্য জনদের নির্মম ভাবে হত‍্যা করেন ।
সেই সময় ঈশ্বর কোথায় ছিলেন যখন অ‍্যাটম বম্ব ফেলা হয়েছিল। তিনি কোথায় যখন সিরিয়া র মানুষ প্রাণ হাতে করে ঘোরাঘুরি করছে।
আপনাদের মধ্যে কেউ বলবেন যে আজ যাদের সাথে অন‍্যায় হচ্ছে তারা তাদের কর্মফল ভোগ করছেন। কিন্তু বলুন তো ছোট্ট শিশু রা যাদের বয়স তিন বা চার তারা কি পাপ করেছে ?
এখন হয়তো আপনি বলবেন এগুলো তাদের পূর্ব জন্মের পাপের ফল।
তবে কি জানবো আমাদের ঈশ্বর এতটা শক্তি শালী নয় যে আপনার পাপের ফল আপনাকে এই জন্মেই দিতে পারে।
আমাদের ধর্ম আমাদের ঈশ্বর সব জায়গাতেই উপস্থিত। এমনকি আমাদের ভিতরে। তবে আমরা তাকে মন্দির, মসজিদ, চার্চ,গুরুদ্বারে সব জায়গাতেই খুঁজে বেড়াই কেন ?
মানুষ এক হিংস্র প্রাণী।একে সামলানো সহজ নয়। তাই মানুষের মধ্যে কিছু উন্নত বুদ্ধি র লোক ধর্মের সৃষ্টি করেছিল যাতে ধর্মের নামে মানুষের হিংসা কে বশে রাখা সম্ভব হয়।
এবং আমার মনে হয় তারা এই কাজে বেশীরভাগ টুকু সফল।
এই জন্য সব ধর্মের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলা হয়েছে।
এই ভাবে দেখলে আজকেও ঈশ্বর আমাদের খুবই প্রয়োজন।
এখন আমি আমাদের পুরনো প্রশ্ন তে ফেরত আসি । ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি আছে ?
আমার উত্তর জানি না।
ঈশ্বর আছে কিনা এ প্রশ্ন যুগ যুগ ধরে মানুষ তুলবে , উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে । কোন কিছুই অন্ধের মতো বিশ্বাস করে নেওয়া উচিত নয়। বরং তাকে বিশ্বাস করার আগে বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে যাচাই করে নেওয়া বুদ্ধি মানের কাজ। এই লেখার উদ্দেশ্য কোন ধর্ম বা জাতি বা সম্প্রদায়কে ছোট করা নয়। বরং সব কিছু নিংড়ে প্রকৃত সত্য উন্মোচিত করা।

No comments:

Post a Comment