Crss colum

Thursday, April 20, 2017

হিন্দু রাষ্ট্র

  ভারত যদি হিন্দু রাষ্ট্র হয় আপনার বাড়ির জলের সমস্যা কি মিটে যাবে ? ক্ষুধার্ত মানুষের পেট কি ভর্তি হয়ে যাবে ? গরীব মানুষ কি উন্নত চিকিত্সা পাবে ?
না ,না , না .
তবু ভারতের হিন্দু রাষ্ট্র হওয়াটা জরুরী .একবার ভাবুন তো আসমুদ্র হিমাচল এই দেশ কে পৃথিবী সভ্যতার শুরু থেকে আর্য জাতি বা হিন্দুদের দেশ হিসাবে চেনে .যখন ইউরোপ আমেরিকা  ও আরব প্রদেশ বর্বর অধ্যুষিত  ছিলো তখন এই দেশ  বিজ্ঞান ,সাহিত্য ,সংস্কৃতি সব কিছুতেই এক অতুলনীয় উন্নতি সাধন করেছিলো . প্রাচীন বৈদিক ধর্ম গান্ধার প্রদেশ হতে শুরু করে সিংহল হয়ে কম্বোডিয়া  পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো . এই দেশেই ধ্বনিত হয়েছিল 'বসুধৈব কুটুম্বকম  ' .আজ আর সেই স্বর্ণপ্রসু সেই ভারতবর্ষ নেই .নেই আমাদের একচ্ছত্র অধিকার .আমাদের এই দেশ ও সম্পদ কে ভাগ করে নিতে হচ্ছে  অসভ্য  বর্বর ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে .  আমরা একের পর এক প্রদেশ হারিয়েছি আর নিজেদের সংকুচিত করে নিয়েছি আরো ছোটো বৃত্তের মধ্যে . একথা ঠিক নয় আমরা ভীরু .আমরা বীরের জাতি .  প্রাচীন মগধের ভয়ে কাঁপতো  আমাদের শত্রুরা .মহাবীর আলেকজান্ডারের সৈন্যরা মগধের বিশাল সৈন্য বাহিনীর কথা শুনে আর ভারতবর্ষের অন্দরে প্রবেশ করেনি .পৃথ্থিরাজ   চৌহান মহম্মদ ঘোরীকে পরাজিত করেও দয়া করে ছেড়ে দেয় .  পরে জয়চাঁদের বিশ্বাসঘতকতার জন্য ঘোরীর কাছে হেরে যায় .মহারানা প্রতাপ আজীবন আকবরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলো .বাংলার বারো ভূইয়ার অন্যতম প্রতাপাদিত্য় কে অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে আকবরের সেনাপতি মানসিংহ পরাজিত করেন .আর মারাঠা বীর শিবাজীর বীরত্ব কাহিনী আপনারা সবাই শুনেছেন .
তাই বলি এই ভারতবর্ষ আসলে হিন্দুস্থান .  বিশাল হিন্দুস্থানের খন্ডিত অংশ আমরা ভোগ করছি . তাও নিরংকুশ ভাবে নয় .বর্বর ধর্ম গুলির সাথে  ভাগাভাগি করে .
মুসলমানি শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে আমরা দুশো বছরের ইংরেজ শাসনের অধীনে ছিলাম .ইংরেজ আমলে আমরা শোষিত হয়েছি কিন্তু আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিলো .তবুও আমরা শুধু হিন্দুরা দীর্ঘকাল স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য ইংরেজের সাথে লড়েছি . একেবারে শেষ সময়ে মুসলিম লিগ আসরে নেমেছিলো এই দেশকে ভাগাভাগি করে মুসলমানদের জন্য আলাদা ভূমির ব্যবস্থা করতে .  পরিণাম গ্রেট কেলকাটা কিলিং  নামে লাখ লাখ হিন্দু হত্যা .কলিকাতার প্রতিটি রাস্তায় অজস্র হিন্দুর লাশ পড়েছিলো . নোয়াখালির হিন্দু সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ মুছে দিয়েছিল মুসলিমরা .এসবই ঐতিহাসিক সত্য . অজস্র বই আছে এগুলি নিয়ে ,আগ্রহীরা পড়তে পারেন .  অবশেষে আমাদের নপুংসক নেতারা দ্বিজাতি তত্ত্ব মেনে নিলেন যার পরিণাম পাকিস্তান নামে এক শুধুই মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশের জন্ম . আমরা  হারালাম এক বৃহত্ ভূমিখন্ড . তাতেও কি শান্তি হলো ? মুসলিমদের এক বৃহত্তর অংশ রয়ে গেলো ভারতে . 
আশ্চর্য্যের ব্যাপার এই  যে  দ্বিজাতি তত্ত্বের মূল ভিত্তি এই যে হিন্দু ও মুসলিম দুইটি আলাদা জাতি .তারা একত্রিত হয়ে থাকতে পারবে না .তাই ভারতবর্ষকে দুই ভাগ করে দুটি জাতির আলাদা বাসস্থান করা প্রয়োজন .আমাদের নপুংসক হিন্দু নেতারা এই কথা গুলি মেনে নিয়ে ভারত ভাগে সায় দিলেন  .কিন্তু  একতরফা মানুষ বিনিময় হলো .হিন্দুরা অসম্ভব ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে এদেশে নিঃসম্বল অবস্থায় এলো .কিন্তু মুসলিমরা পাকিস্তান গেলো না . আমাদের নেতারা ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে এই অন্যায় মেনে নিলেন . আরো মজার ব্যাপার লক্ষ্য করুন ,পাকিস্তান হলো মুসলিম দেশ ,আর ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ . আমাদের সংগ্রাম এই মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে .স্বাধীনতার পর থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে  যা হয়েছে তা হলো মুসলিম তোষণ .আর এই তোষণের রাজনীতির ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিন্দুরা .আজ আমরা নিজভূমে পরবাসীর মতো জীবন যাপন করছি . এ এক আশ্চর্য্য দেশ .এখানে হিন্দুদের জন্য ভারতীয় সংবিধান আর মুসলিমদের জন্য মুসলিম ল .এই বৈষম্য কেনো ? একজন মুসলিম চারটি বিয়ে করে জন সংখ্যা বাড়াতে পারে , যখন খুশি যে কোনো বিবাহিত বেগমকে তালাক দিতে পারে .  আর আমরা হিন্দুরা শুধুই মুখে আঙুল দিয়ে দেখতে পারি এই দেশটি কেমন ভাবে ইসলামিক দেশে রূপান্তরিত হয় .এদেশে এক ধরণের চুলকানি মানুষ আছে ,যাদের বুদ্ধিজীবি বলে .তারা হিন্দু নাম ধারী কিন্তু হিন্দু নয় .তারা ওদের হাজারো অন্যায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও নিজের চোখকে ভুল দেখার জন্য দোষ দেয় কিন্তু ওদের নয় .
আজ সময় এসেছে যেটুকু অবশিষ্ট আছে সেটাকে রক্ষা করার .পৃথিবীতে হাজারো মুসলিম রাষ্ট্র আছে ,খ্রীষ্টান রাষ্ট্র আছে , বৌদ্ধ রাষ্ট্র আছে ,ইহুদী রাষ্ট্র আছে .ঐ রাষ্ট্র গুলিতে ঐসব ধর্মের লোকেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত .গোটা দুনিয়ায় এই মুহূর্তে কোনো হিন্দু রাষ্ট্র নেই . আমরা হিন্দুরা যদি আমাদের শেষ ও একমাত্র আশ্রয় ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্র না বানাতে পারি তবে অদুর ভবিষ্যতে আমাদের চোখের সামনে জন বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই হিন্দুস্থান ইসলামিক দেশে রূপান্তরিত হবে ,ঠিক যেভাবে হিন্দু প্রধান বাংলা এখন মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ হয়েছে .
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জেহাদীরা সংখ্যায় বাড়ছে .ধূলাগোড়  ,কাটোয়া  ,মল্লারপুর  ,দেগঙ্গা  ,ইলাম বাজার ,কালিয়াচক  ,চন্দ্রকোণা  ,হাজীনগর  ,চন্দননগর  ,খড়্গপুর  ,সাঁকরাইল ইত্যাদি আরো অজস্র জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে .তোষণবাদী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তি ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে তাদের প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে .এসব থেকে মুক্তির একটাই পথ এই মেকী ধর্মনিরপেক্ষতা সমূলে উতপাটিত করে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা . তার জন্য চাই সমগ্র হিন্দু জাতির ঐক্যবদ্ধতা.
আবার বলছি এই দেশ হিন্দু রাষ্ট্র হলে দেশের সব সমস্যা  সমাধান হবে না .তবে নিশ্চিত হবে এই বিশাল পৃথিবীর একপ্রান্তে হিন্দু ধর্মের লোকেদের নিশ্চিত নিরাপদ বাসস্থান .নিশ্চিত ধর্মাচারণের অধিকার .তোষণবাদী রাজনীতির শেষের ডঙ্কাধ্বনি .
                       (তাত্ত্বিক হিন্দু )

No comments:

Post a Comment