Crss colum

Tuesday, May 29, 2018

সম্রাট ধর্মপাল।

      ।। সম্রাট ধর্মপাল।।
আজ আপনাদের শোনাবো ইতিহাসের এক বিখ্যাত প্রেম কাহিনী।
রাষ্ট্রকূটরাজ গোবিন্দ র কন্যা রন্না দেবী  র বাঙালি সম্রাট ধর্মপালের প্রতি প্রেম।
সম্রাট ধর্মপাল।
যে প্রেম বাঙালি জাতিকে এক বিরাট বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছিলো।
আমরা অনেকেই নিজেদের ইতিহাস জানি না।
ধর্মপাল ছিলেন মহারাজ গোপালদেবের পুত্র।
মহারাজ শশ্মাঙ্কদেবের মৃত্যুর পর একশত বছর ব‍্যাপী বাঙালি জাতির বিপর্যয় চলে। শশ্মাঙ্কদেবের পুত্র মানবদেব তার বিশাল গৌড় সাম্রাজ্য ধরে রাখতে অক্ষম হয় ।
এই সময় বঙ্গ দেশে শুরু হয় মৎস‍্যান‍্যায়। বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে গিলে খায়। তেমনি শশ্মাঙ্ক র মৃত্যুর পর দেখা যায় অসংখ্য ছোট বড় সামন্ত রাজা একে অপরের ক্ষতি সাধনে ব‍্যাস্ত।
সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ চরমে ওঠে। এই অবস্থা একশত বছর ব‍্যাপি স্থায়ী হয় । বাংলা র ইতিহাসে এই সময় মাৎস‍্যান‍্যায় হিসাবে বিখ্যাত।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি দেয় মহারাজ গোপালদেব।
সম্রাট ধর্মপাল।
ইতিহাস বলে তিনি ছিলেন দয়িতবিষ্ণুর পৌত্র , ও ব‍্যপোটের পুত্র।কে এই দয়িতবিষ্ণু ,কেই বা ব‍্যপোট ,তা ইতিহাস জানে না।
গোপালদেব ছিলেন বিচক্ষণ ব‍্যাক্তি। তিনি ধীরে ধীরে পুরো বাংলা দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। তিনি বাংলার পালবংশের সূচনা করেন।
গোপালদেব  আত্মরক্ষা ও রাজ‍্য রক্ষার জন্য সৃষ্টি করেছিলেন এক দূর্ধর্ষ বাঙালি বাহিনী।
কৈবর্ত, বাগদী,ডোম, ও কেওট  ইত‍্যাদী বর্ণের তাগড়া জোয়ান ছেলেদের নিয়ে তৈরী এই বাহিনী। তাদের হাতিয়ার বলতে ছিল তরোয়াল,ঢাল ,সড়কি ও বল্লম।টাঙ্গি ও শোভা পেত কোন কোন সৈন্য দের কাঁধে।
অস্ত্র সামান্য , কিন্তু অস্ত্র ধারীরা অসামান্য। গঙ্গা , পদ্মা , মেঘনার মতো নদী অস্ত্র নিয়ে সাঁতার দিয়ে পেরোতে এরা অভ‍্যস্ত। দুশমন যদি খাড়া পাহাড়ের মাথায় কেল্লা গড়ে থাকে , তবে রাতের আঁধারে এই কালো মুশকো জোয়ানরা টিকটিকির মতো সড়সড় করে উঠে পড়ে কোমরে একটা খাটো টাঙ্গি বেঁধে।

এই দূর্ধর্ষ বাহিনীর ভয়ে তখন কাঁপছে পুরো উত্তরাপথ। এই দূর্মদ বাহিনী পতাকা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে,গৌড় মগধের জয়ধ্বনি দিতে দিতে ছেয়ে ফেলেছে পুরো উত্তর ভারত।
সিন্ধু তীর  কামরুপ পর্যন্ত সব রাজারা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছে বাঙালি ধর্মপাল কে সম্রাট বলে।
কনৌজেশ্বর ইন্দ্ররাজ কে বিতাড়িত করে ধর্মপাল  তার বংশবদ মিত্র চক্রায়ুধ কে কনৌজের সিংহাসনে বসান ।চক্রায়ুধের অভিষেক উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয় সিন্ধুর তীর পর্যন্ত সব রাজা দের। যারা আসেন তারা সকলেই বাঙালি সম্রাট ধর্মপালের অধীনতা স্বীকার করেন।ধর্মপাল কারো রাজ‍্য হরণ করেন না। তিনি সামান্য কিছু রাজকরের বিনিময়ে পরাজিত রাজ‍্য কে ছত্রছায়া দান করে থাকেন।
চক্রায়ুধের অভিষেক উপলক্ষে থানেশ্বর , বিদর্ভ, মৎস্য,শিবাকোট্ট ও তক্ষশীলা ইত‍্যাদী রাজ‍্য থেকে কোন রাজা বা প্রতিনিধি কেউ আসে নাই।
তাই চক্রায়ুধের  অভিষেক অন্তে বিশাল দূর্ধর্ষ বাঙালি বাহিনী  ‘ জয় মগধ নরেশ ধর্মপাল ’ এই ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে চললো  এই সব রাজ‍্যগুলিকে অধীনে আনার জন্য।
(প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, তখন ‘বাংলাদেশ বা বাংলা’এই কনসেপ্ট গড়ে ওঠেনি। সমগ্র বাংলা তখন মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলের অধীবাসিরা তখন বাকি উত্তর ভারতের কাছে মাগধী নামে পরিচিত ছিল। মগধের রাজধানী ছিল পাটলীপুত্র। অবশ্য মহারাজ শশ্মাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।)
পঞ্চনদের দেশ পর্যন্ত দুর্বার গতিতে এগিয়ে চললো ধর্মপালের বিজয় বাহিনী। বাঙালি সাম্রাজ্য ব্রহ্মপুত্র থেকে সিন্ধু বিপাশা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।
কিন্তু প্রতিরোধ এলো মরুভূমির গুর্জররাজ নাগভটের কাছ থেকে।
নাগভট রণসজ্জা শুরু করলো  দূরাগত বাঙালি বাহিনী কে অসিমূখে অভ‍্যর্থনা করার জন্য।
কিন্তু নাগভটের সমরপিপাসা মেটানোর সূযোগ ধর্মপালের হলো না।

তিব্বত রাজ শ্রক শেম গাম্পো  ঠিক করলেন তিনি বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত তার সাম্রাজ্য বিস্তার করবেন এবং এক বিশাল তিব্বতীয় নৌবাহিনী গড়ে তুলবেন।
তিনি তাই নেপাল আক্রমণ করেছেন। নেপাল ঠিক গৌড়বঙ্গের উত্তর দিকে অবস্থিত। নেপাল পরাজিত হলে তিব্বতরাজের কাছে  গৌড় বঙ্গ নিরাপদ থাকবে না।তাই ধর্মপাল সসৈন্যে দৌড়লেন আশ্রিত সামন্ত রাজ‍্য নেপাল কে রক্ষা করার জন্য।
তাছাড়া সম্রাট হিসেবে এটি তার কর্তব্য।
কিন্তু সে যুদ্ধ সহজে থামবার নয়। জলস্রোতের মতো তিব্বতী সৈন্য আসছে। বাধ‍্য হয়ে ধর্মপাল কেও নতুন নতুন বাহিনী আনাতে হচ্ছে  গৌড় থেকে।
এদিকে গুর্জর রাজ নাগভট দেখলেন এই সুযোগ।ধর্মপাল তিব্বতের সাথে যুদ্ধরত।এই সুযোগে নাগভট বিশাল বাহিনী নিয়ে পাটলিপুত্র অবরোধ করলো।পাটলিপুত্র তখন গৌড় মগধ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানী।
গৌড় থেকে সচিবেরা আবেদন পাঠালেন সম্রাটের কাছে।  'চলে আসুন সম্রাট। নয়তো আজ যাবে পাটলিপুত্র , এরপর যাবে গৌড়।’
ধর্মপাল পড়লেন উভয় সঙ্কটে।
তিনি যদি পেছিয়ে আসেন তবে তিব্বত রাজ শ্রক শেম গাম্পো এগিয়ে আসবে। আবার যদি পাটলিপুত্র তথা গৌড় মগধ সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।

কে রক্ষা করবে এই গৌড় মগধ সাম্রাজ্য ?

এগিয়ে এলেন এক সূন্দরী রাজকন্যা
সম্রাট ধর্মপাল।
ভারতের দাক্ষিণাত্য দেশে তখন রাষ্ট্রকূট দের রাজত্ব।তারা তখন উত্তর ভারতের রাজনীতি র সাথে সম্পর্ক রাখতেন না।
একদিন রাষ্ট্রকূট রাজ গোবিন্দ তার মেয়ে রন্না কে বললেন , “তোমার তো বিবাহের বয়স হলো। এবার তোমার বিবাহের ব‍্যবস্থা করতে হয়।”
রন্না উত্তর দিলো , “ পিতা , আমি আমার বর বেছে রেখেছি।”
গোবিন্দ বললেন , “কে ?”
রন্না দেবী তখন এক সূবর্ণ পেটিকা থেকে এক দেবকান্তি জ‍্যোতির্ময় যুবকের প্রতিকৃতি বার করলো।
সারা ভারত জুড়ে তখন রাজন‍্য মহলে দেবকান্তি বীরশ্রেষ্ঠ ধর্মপালের কীর্তি আলোচিত।
কিশোরী রন্না এই দেবকান্তি যুবকের কীর্তি শুনে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছেন ধর্মপাল কে। গোপনে তার প্রতিকৃতি জোগাড় করেছেন ।
প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে গোবিন্দ লজ্জাবনত মেয়ে র দিকে তাকিয়ে বললেন , “ এ তো মনে হচ্ছে ধর্মপাল।”
রন্না বললেন , “আপনি ঠিক ধরেছেন বাবা।এটি গৌড়ের সম্রাট ধর্মপালের প্রতিকৃতি।”
গোবিন্দ উত্তর দিলো , “কিন্তু ধর্মপাল তো এখন ভীষণ সংকটের মধ্যে আছে।”
রন্না বললো  “তুমি তাকে উদ্ধার করো বাবা।”
সম্রাট ধর্মপাল।
অতঃপর কয়েক দিনের মধ্যেই বিশাল রাষ্ট্রকূট বাহিনী এগিয়ে চললো পাটলিপুত্র অভিমূখে।
পাটলিপুত্র অবরোধ কারী নাগভটের সাথে যুদ্ধ হলো রাষ্ট্রকূট সৈন্য দের।
গুর্জর রাজ নাগভট কে চূর্ণ করে রাষ্ট্রকূট বাহিনী এগিয়ে চললো নেপাল অভিমূখে ধর্মপালকে সাহায্য করার জন্য।
এদিকে ধর্মপাল চর মূখে রাষ্ট্রকূট দের উপস্থিতি ও নাগভটের পরাজয়ের ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রকূট দের উদ্দেশ্য কিছুই বুঝতে পারছেন না।
কয়েক দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রকূটদের দূত ও মহারাজ গোবিন্দর কুলপুরোহিত ধর্মপালের কাছে এলেন রাজকন্যা রন্না র সাথে সম্রাট ধর্মপালের শুভ পরিণয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
কয়েক দিন পরে রাজকন্যা রন্না র সাথে ধর্মপালের বিবাহ সম্পন্ন হলো।
সম্রাট ধর্মপাল।
গৌড়ের সাম্রাজ্য লক্ষ্মী হলেন রাষ্ট্রকূট দুহিতা রন্না।।
আর তিব্বত রাজ শ্রক শেম গাম্পো গৌড় ও রাষ্ট্রকূট দের মিলিত বাহিনীর সম্মূখীন হওয়ার সাহস করলেন না।

আজ বাঙালি তার প্রকৃত ইতিহাস ভুলে গেছে। তাই বাঙালি ভীরুতা কে আশ্রয় করেছে। অথচ এই বাঙালি এক সময় বাহুবলে সমগ্র উত্তর ভারতে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
সম্রাট ধর্মপাল ও রাজকন্যা রন্না র নাম বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে  স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে।
সম্রাট ধর্মপাল।

Saturday, May 26, 2018

ভালোবাসা।


ভালোবাসা।।

তৃষিত অন্তরের রুক্ষতা নিবারণ করে যে সুশীতল বারিধারা তার ই নাম ভালোবাসা।
শব্দ টির সাথে পরিচয় নেই এমন মানুষ হয়তো পৃথিবীতে নেই।
প্রতিটি ভাষায় কাব্য , সাহিত্য ইত‍্যাদী যা কিছু রচনা হয়েছে তার প্রেরণা এই  ভালোবাসা।
কিশোরীর ভ্রু কুঞ্চিত চাউনি কতো যুবকের হৃদয়ে তীর হয়ে বিঁধেছে তার হিসাব নেই।
এক ঝলক দেখার আশায় সারাদিন হা পিত‍্যেস করে বসে থাকাই ভালোবাসা।
সাহিত্য সমুদ্র মন্থন করে আবেগ তাড়িত চিঠি বা মেসেজ করার নাম ভালোবাসা ছাড়া আর কি হতে পারে ?
ফেসবুকে প্রোফাইল চেন্জ করে বা একটা পোস্ট করে হাজারো লাইকের ভিড়ে একটা লাইক খুঁজে বের করার চেষ্টা ই ভালোবাসা।

ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে      অফিস থেকে ফিরে বাথরুমে আরাম করে গা ধুয়ে বাড়ির পোশাক পরে বেরিয়ে আসা মাত্র গৃহিণী এক কাপ ধূমায়িত চা ধরিয়ে দেওয়া মাত্রই যে অনুভূতি হয় সেটাই ভালবাসা।

কখনো বা জ্বরের ঘোরে অসুস্থ শরীরে মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গেই যে নিদ্রাহীন চোখটিকে জেগে থাকতে দেখেছি ,  সেই চোখের কোণে এক বিন্দু জলকণা যখন আমার হৃদয় টাকে দুমড়েমুচড়ে দেয় , তখন সেই জলকণা টিকে নিঃসন্দেহে ভালোবাসা বলা যায়।

ভালোবাসা মানে শরীর সর্বস্বতা নয়।
যৌবনের উদ্দাম সুখকে ভালোবাসা ভাবা মানে হীরক খন্ড ফেলে কাঁচ কে আঁকড়ে ধরা।

ভালোবাসা মানে দুটি মনের সান্নিধ্য।

কতো মানুষ এক সাথে একই ঘরে রাত্রি যাপন করে। কিন্তু তাদের দুটি মন দুই মেরুতে অবস্থান করে ।
তাই একসাথে থাকা মানেই ভালোবাসা নয়।

তবে একথাও ঠিক একসাথে বসবাস করতে করতে একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে । তখন তাদের মনের অগোচরে যে বিশ্বাস তৈরী হয় তার নাম ভালোবাসা।

ভালোবাসা নিয়ে এতো গুণীজন এতো কিছু বলে গেছেন যে আমার কিছু বলতে যাওয়া ধৃষ্টতা মাত্র।

তবে  একটা কথা বলতে পারি , কাছে থাকাকালীন যে ভালোবাসা অনুভব হয় , তার চেয়ে বেশী অনুভব হয় একজন অন‍্য জনের থেকে দূরে গেলে।
 
এক সঙ্গীর চলে যাওয়ার পর অন‍্য সঙ্গীর যে শূন্যতা অনুভব সেটাই বোধহয় প্রকৃত বিশুদ্ধ প্রেম।

Tuesday, May 15, 2018

গণতন্ত্র।

মৃতের সংখ্যা হিসাব দেয়,
আপনি আছেন শান্তিতে।
দীর্ঘশ্বাস একা জেগে থাকে ,
তমসাচ্ছন্ন মাঝরাতে।
গণতন্ত্র পালিয়ে বেড়ায় ,
এই গলি হতে ঐ গলি,
অর্থের সেলোটেপে বন্ধ,
বুদ্ধীজীবির মুখের বুলি।
কথার ঝড়ে উড়ে যায় ,
জনতার বেঁচে থাকার আশা,
কালনাগিনী র ছোবলে শেষ
আমাদের মুখের ভাষা।।
গণতন্ত্র ,২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচন, পশ্চিম বঙ্গ।

Wednesday, May 9, 2018

গড়বেতা এক রুক্ষ্ম রূপকথা।

গড়বেতা এক রুক্ষ্ম রূপকথা।

গনগনি(বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন):
পশ্চিমবঙ্গের এক ছোট্ট শহর
গড়বেতা।
হাওড়া বা কোলকাতা থেকে সড়ক বা রেলপথে মেরেকেটে ঘন্টা পাঁচেকের রাস্তা।
গড়বেতা,গনগনি,বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন
গড়বেতা শহরের মূল দ্রষ্টব্য স্থান গনগনি।
এটা এক প্রকার ভূমিক্ষয় জনিত তৈরী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
গনগনি,বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন
প্রকৃতি নিজের হাতে এই জায়গাটা সাজিয়ে রেখেছে আপনার জন্য।
গনগনি কে বলা হয়  ‘বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন’ ।
গড়বেতা, গনগনি,বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন।
গড়বেতা, গনগনি,বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন।
গড়বেতা,  
যেগনগনি,বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন

গড়বতা , কাজু বাদাম গাছ ।
লাল মাটির এই দেশে আপনি এলে দেখতে পাবেন চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজুবাদামের জঙ্গল।
গড়বেতা , গনগনি,বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন।
পাকা কাজুবাদামের ফল লাল বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে । নিচের অংশে থাকে বীজ ।যা থেকে তৈরী হয় সুস্বাদু কাজুবাদাম।
উপরের ফল টি টক মিষ্টি। খাওয়া যায়।
গড়বেতা , কাজুবাদামের ফল , গনগনি গনগনি,বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন
গনগনি আসলে একটি গ্রাম। মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। এখানে এলে মনে হয় না আমরা আধুনিক যুগে বসবাস করছি।
এখনো এখানে গরুর গাড়ি চলাচল করে। তবে মূলত মাল বওয়ার কাজে গরুর গাড়ি ব্যবহার হয়।
গনগনির পাশ দিয়ে চলেছে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী।
জীবন এখানে অলস প্রকৃতির।
নদীর পাড়ে ঘাস খাওয়া গরু বাছুর থেকে নদীর কিনারায় মাছ ধরা বক গুলি, সবাই যেন প্রাচীন কাল হতে অপেক্ষারত আপনার অলস দৃষ্টি র প্রতীক্ষায়।
গরুর গাড়ি ,শিলাবতীর তীরে।
রুক্ষতা এখানের সৌন্দর্য।

হাওড়া থেকে আদ্রা ও পুরুলিয়া গামী সব ট্রেন গড়বেতা রেল ষ্টেশনে থামে।
রেল ষ্টেশন থেকে মূল শহর প্রায় চার কিলোমিটার দূরে।অটো ও টোটো দুটি করেই যাওয়া যায়।
পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক লজ্ ও হোটেল আছে।
এখানে গরম বেশি।তাই শীতের শুরুটা ভ্রমণের পক্ষে আদর্শ।