Crss colum

Sunday, January 27, 2019

আটলান্টিসের পাথর 8

সুমনের প্রশ্ন শুনে বিশ্বকর্মার মুখে হাসি খেলে গেল। কিছু জবাব না পেয়ে সুমন আবার একই প্রশ্ন করলো ," স্ফটিক খন্ড কিভাবে আমাদের কাছ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে ?"

বিশ্বকর্মা উত্তর দিলো ," মানুষের মনের তিন রকম অবস্থা ।কনশাস, সাবকনশাস, আনকনশাস। মানুষ জেগে থাকা অবস্থায়(কনশাস অবস্থায়) যা কিছু দেখে ,শোনে বা বৈজ্ঞানিক ভাষায় তথ্য (DATA) সংগ্রহ করে তা  মানব  মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশে জমা হয়। মানুষ ঘুমিয়ে পড়লে তখন মানুষের সাবকনশাস মাইন্ড জাগ্রত হয়। এই অবস্থায় মস্তিষ্ক সারা দিনের সংগ্রহ করা তথ্য অরগানাইজ করে।সহজ কথায় অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দেয় ও প্রয়োজনীয় তথ্য গুছিয়ে রাখে। এই সময় মানুষ স্বপ্ন দেখে। চোখের মণি ঘুমন্ত অবস্থায় নড়াচড়া করে। তারপর আসে আনকনশাস অবস্থা। এই সময় মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থায় মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশ সক্রিয় হয়। সেই অংশ  সংগৃহীত যাবতীয় তথ্য অতি সুক্ষ্ম তরঙ্গ আকারে আমাদের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে।
আমাদের সিস্টেম  সারা পৃথিবীর সব মানুষের থেকে দুই ধরনের তরঙ্গ গ্রহণ করে। একটা পজিটিভ তরঙ্গ । দ্বিতীয় টি নেগেটিভ তরঙ্গ। আগেই বলেছি মানব জীবনের প্রেম , ভালোবাসা, উচ্চাশা ইত্যাদি পজিটিভ তরঙ্গ তৈরী করে।আর হিংসা , ঘৃণা, ভয়  , রাগ ইত্যাদি নেগেটিভ তরঙ্গ তৈরী করে।
মাটির গভীরে প্রায় পৃথিবীর অন্তঃস্থলের কাছে আমরা একটি রিসিভিং ইউনিট বসিয়েছি। সেখানে আমরা নেগেটিভ তরঙ্গ রিসিভ করি।আর পজিটিভ তরঙ্গ আমরা এক বিরাট পিরামিড আকৃতির  টাওয়ার থেকে রিসিভ করি।উভয় তরঙ্গ মিলে আমাদের   স্ফটিক খন্ড টিকে শক্তি প্রদান করে।"
অর্জুন বললো ,‘ বিরাট পিরামিড ?’
বিশ্বকর্মা বললো “ হ্যাঁ পিরামিড। তোমরা সেই পিরামিড কে কৈলাস পর্বত নামে চেনো। যাই হোক তোমাদের অনেক কিছুই বললাম।সবটা হয়তো বুঝতে পারোনি। তোমাদের বিজ্ঞান আরো উন্নত হলে সবটুকু বুঝতে পারবে। এখন চলো তোমাদের সব কিছু ঘুরিয়ে দেখাই। তাছাড়া তোমাদের বিশেষ প্রয়োজনে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। সেটা প্রতি হাজার সৌর বৎসরে একবার হয়। প্রতি হাজার বৎসরে মাত্র তিনটি  মানুষ এই গোপন নগরীতে প্রবেশ করবার সুযোগ পায়। তোমরা হলে সেই ভাগ্যবান তিনজন। এবার চলো ..”

বিশ্বকর্মা ওদের নিয়ে তার ঘর থেকে বেরিয়ে আবার সেই বিরাট কক্ষটিতে এলো। এখানে অনেক বড়ো চৌবাচ্চা, যেগুলো অর্জুন রা প্রবেশ করার সময় দেখেছিলো। প্রফেসর বাগচী বিশ্বকর্মা কে প্রশ্ন করলেন ‘ এগুলো কি?’
বিশ্বকর্মা উত্তর দিলো “ সারা পৃথিবীর সব মানুষের থেকে যে সব তথ্য সংগ্রহ করা হয় তা এখানে  জমিয়ে রাখা হয়েছে।ঐ যে সবুজ তরল দেখছেন ওগুলো ক্লোরোফিল ও প্রোটিনের মিশ্রণ। প্রোটিনের মধ্যে  তথ্য ধারণ করার ক্ষমতা আছে।আর ক্লোরোফিল যুক্ত থাকায় এটি সরাসরি খাদ্য তৈরি করে জীবন্ত থাকে। আর ওপরে যে স্বচ্ছ পাথর দেখছো ওগুলো কোয়ার্টজ  । ওগুলো আমাদের মূল  স্ফটিক খন্ডের নির্দেশ মতো  সব তথ্য কে অ্যানালাইজ  করছে।আর এই সব তথ্য থেকে বিশ্লেষণ করে মূল স্ফটিক খন্ড মানুষের ভবিষ্যতে র রূপরেখা তৈরি করবে এবং মানুষ কে সুরক্ষা প্রদান করবে।   ”
বিশ্বকর্মা  পকেট থেকে যন্ত্র বার করে সুইচ টিপতে পুনরায় একটি পাটাতন জাতীয় যান ভেসে এলো। বিশ্বকর্মা ও ওরা তিনজন যানে উঠলো ।ইন্দ্র বললো ‘ আমার বিশেষ কাজ রয়েছে। এই মুহূর্তে সৌর মন্ডলের রক্ষা প্রণালী স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ আছে। তাই আমাদের  অতি সতর্কতার সঙ্গে নজর রাখতে হচ্ছে। তোমরা বিশ্বকর্মার সাথে যাও । উনি তোমাদের কি করতে হবে বুঝিয়ে দেবে। বিদায় বন্ধুরা।’
ওদের পাটাতন চলতে শুরু করল। প্রফেসর বাগচী বললো “ রক্ষা প্রণালী বন্ধ কেন ?আর আমাদের কি করতে হবে ?”
বিশ্বকর্মা উত্তর দিলো ‘ রক্ষাপ্রণালী প্রতি হাজার বছরে একবার আপডেটেড হওয়ার জন্য  অটোমেটিক ভাবে বন্ধ হয়। তখন রক্ষা প্রণালী কে রি স্টার্ট করার জন্য তিন জন মানুষের প্রয়োজন হয়। তোমাদের সেজন্য এখানে আনা হয়েছে । আর  এই তিন জন মানুষকে স্বয়ং স্ফটিক খন্ড বেছে নেয় কোটি কোটি মানুষের মধ্যে থেকে। তোমাদের  যে  সব ঘটনা প্রবাহ এখানে টেনে এনেছে তা আমাদের স্ফটিক খন্ড তৈরী করেছে তার নিজের প্রয়োজনে।  ’
সুমন বললো' কিন্তু তিনজন কি হবে?'
বিশ্বকর্মা বললো ‘ তিনজনের একজন নেগেটিভ, একজন পজিটিভ, একজন নিউট্রাল শক্তি র প্রতীক। ’

ওরা যেখান দিয়ে যাচ্ছিলো সেখানে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রয়েছে। দুই পাশে বিরাট বিরাট স্ক্রীনে সারা পৃথিবীর ঘটনা বলি দেখা যাচ্ছে।
অর্জুন প্রশ্ন করলো ‘ তোমরা কি এই সব ঘটনা বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল থেকে সংগ্রহ করছো ?’
বিশ্বকর্মা বললো ‘ না  । ক্যামেরা আবিস্কারের আগে থেকেই এখানে আমরা সব কিছুই দেখতে পাই। এগুলো কোনো নিউজ ফিড নয়। এগুলো বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত চোখে দেখা অভিজ্ঞতা। যেগুলো তথ্য আকারে তাদের ঘুমের মধ্যে আমরা সংগ্রহ করেছি । সেগুলো এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা এই সব ঘটনা বলি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ’
প্রফেসর বাগচী বললেন ' আপনারা  পুরানো আটলান্টিস ছেড়ে দিলেন কেন ?'
বিশ্বকর্মা উত্তর দিলো ‘ আমাদের গ্রহ থেকে এসে প্রথমে আমরা তাড়াহুড়ো য় একটি দ্বীপে আশ্রয় নিই। কিন্তু পরে অনুভব হয় সেই দ্বীপ সমুদ্রের হাত থেকে নিরাপদ নয়। একদিন রাতে সুনামীতে সব কিছু ধ্বংস হয় । আমরা তখন স্ফটিক খন্ড সহ এখানে  নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলি।’
কথা বলতে বলতে ওদের যান একটা বিরাট গম্বুজের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বকর্মা ওদের নামতে বললো।সবাই নামলে  বিশ্বকর্মা বিশাল গম্বুজ টি দেখিয়ে বলল “এই আমাদের শক্তি কেন্দ্র। এখানেই আছে সেই আশ্চর্য জীবন্ত স্ফটিক খন্ড। প্রবেশ করলে তোমরা সব কিছুই সরাসরি স্ফটিক খন্ড থেকে জানতে পারবে।”
গম্বুজের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই তীব্র নীল আলোক ছটা য় ওদের তিন জনের চোখ ধাঁধিয়ে গেল। কিছুক্ষণ বাদে সকলের চোখ সয়ে এলে দেখলো  গম্বুজের মধ্যিখানে অবস্থিত   এক  সাদা পাথরের মঞ্চের উপর রাখা ক্ষুদ্র নীলাভ পাথর থেকে এই নীল আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বকর্মা ফিস ফিস করে বললো ‘ এই সেই আশ্চর্য বিশ্বচৈতন্য র সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত জীবন্ত স্ফটিক খন্ড।’
ওনার কথা শেষ হওয়া মাত্রই ওদের তিনজনের মস্তিষ্কের ভিতর এক সুরেলা কণ্ঠ ধ্বনিত হলো‘ এই সৌর মন্ডলের সমগ্র জীবিত প্রাণের পরিচালক চৈতন্য মণি তোমাদের স্বাগতম জানাচ্ছি। আমি স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমি “কৌস্তভ” নামে পরিচিত।’
‘তোমরা আমার বিশেষ প্রিয়। তোমাদের যদি কোন জিজ্ঞাস্য থাকে তবে তোমরা  একটি করে প্রশ্ন করতে পারো।  ’
সুমন বললো‘ আমরা কিভাবে আপনার কথা শুনতে পাচ্ছি ?’
উত্তর সকলের মস্তিষ্কের মধ্যে ধ্বনিত হলো‘ আদিম প্রকৃতির জীব থেকে আজকের বুদ্ধিমান জীবে রূপান্তরিত হয়েছো আমার ইচ্ছায়।আমার প্রদর্শিত জ্ঞান দ্বারা দেবতা গোষ্ঠী র এই প্রজাতি তোমাদের মানব প্রজাতিতে উত্তরোণ ঘটিয়েছে। তোমাদের মস্তিষ্কের যে কোন চিন্তা আমি সরাসরি গ্রহণ করতে পারি আবার প্রয়োজনে তোমাদের মস্তিষ্কে সরাসরি বার্তা প্রদান করতে পারি। ’
প্রফেসর বাগচী প্রশ্ন করলেন‘ মৃত্যু কি? মৃত্যু র পর কি হয় ?’
উত্তর এলো‘ জীবন হলো অনেক গুলো পক্রিয়ার  সমন্বয়। যেমন কোনো যন্ত্রের মধ্যে অনেক যন্ত্রাংশ থাকে, ও তার কিছু যন্ত্রাংশ খুব জরুরি হয়, সেগুলো খুলে নিলে যন্ত্রটি স্তব্ধ হয়। আবার কিছু যন্ত্রাংশ খুব জরুরি নয় , সেগুলো খুলে নিলেও যন্ত্র টি তার মূল কাজ করতে পারে। তেমনি মানুষের শরীর একটা যন্ত্র।  কান , চোখ, হাত পা এইসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ছাড়াও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু হৃদয় ছাড়া  মানুষ বাঁচতে পারে না।
তবে তার চেয়ে ও প্রয়োজনীয় হলো চৈতন্য। এই চৈতন্য আমি অতি সুক্ষ্ম তরঙ্গ আকারে সব প্রাণীর ভ্রূণের মধ্যে প্রতিস্থাপন করি। এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তার আয়ু প্রদান করে ক্রিয়াশীল করি। এটাই জীবন।আর চৈতন্য নির্দিষ্ট আয়ু পর্যন্ত কাজ করার পুনরায় শরীর ত্যাগ করে আমার সাথে যুক্ত হয় তখন শরীরের মৃত্যু ঘটে। এছাড়া কোনো আকস্মিক কারণে শরীর বিনষ্ট হলে চৈতন্য আমার নিকট ফিরে আসে সেক্ষেত্রেও শরীরের মৃত্যু হয়। ’
অর্জুন প্রশ্ন করলো ‘ আপনিই কি ঈশ্বর বা ভগবান।’
এবার উত্তর এলো ‘না আমি ঈশ্বর নই। তোমরা যে সৃষ্টি কর্তা র খোঁজ করো তা আমি নই। তবে আমি তার প্রতিভূ। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটি চৈতন্য বা সত্বা রয়েছে। তিনি সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা।তিনিই প্রকৃত ঈশ্বর। তিনি নিরাকার , নির্গুণ , নিস্পৃহ । তিনি সরাসরি সৃষ্টি রক্ষা র কাজে অংশগ্রহণ করেন না। তার ইচ্ছা শক্তি পুঞ্জীভূত হয়ে তার প্রতিটি সৃষ্টি কর্মের মধ্যে বিকশিত হয়। সেজন্য ই দেখো তোমাদের প্রতিটা প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস বলছে ‘তার ইচ্ছা ভিন্ন কোন কিছুই হয় না।’ আমি তার এই সৃষ্টি পরিকল্পনা র অংশীদার। আমি তার ইচ্ছা অনুযায়ী এই সৌর মন্ডলের সকল জীবিত প্রাণী র কর্ম পরিচালনা করে থাকি।’
“এবার তোমাদের প্রস্তাবিত কর্ম সম্পাদন করো। বিশ্বকর্মা তুমি এদের প্রস্তুত করো।”
বিশ্বকর্মা এতো ক্ষন ওদের পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। এবার তিনি সক্রিয় হলেন।
তিনি তিনজনকে কৌস্তুভ মণির তিনদিকে সমবাহু ত্রিভুজের মতো দাঁড় করিয়ে দিলেন। বিশ্বকর্মা বললো ‘ তোমরা এই জটিল রক্ষা প্রণালী পুনরায় আপডেট করতে চলেছো। এই আপডেট শেষ হওয়ার পর তোমাদের পুনরায় তোমাদের চেনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এখানকার কোনো স্মৃতি তোমাদের মনে থাকবে না। তবে অনেক সময় পর সব কিছুই আবছা স্বপ্নের  মতো মনে পড়বে। এই কৌস্তুভ মণির কৃপায় তোমাদের তিন জনের শরীর নিরোগ হবে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তোমরা তিনজনেই উন্নতি র চরম শিখরে উঠবে।’
বিশ্বকর্মা এবার গম্বুজের একপ্রান্তে সরে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো ‘ প্রভু ওনারা প্রস্তুত।’
এই কথা শেষ হওয়ার পর কৌস্তুভ মণি থেকে তীব্র আলোকছটা য় চারিদিক ভরে গেল। সেই তীব্র আলোক ওরা তিনজন সহ্য করতে না পেরে চোখ বুজে ফেললো। আচমকা একটা তীব্র শঙ্খ ধ্বনিতে ওদের মস্তিষ্কের মধ্যে বাজতে শুরু করলো।
বিশ্বকর্মা এই আশ্চর্য দৃশ্যের সাক্ষী রইলো।মণি হতে তিনটি বিদ্যুতের ন্যায় আলোক তরঙ্গ বেরিয়ে ওদের তিনজনের মস্তিষ্ক কে ঘিরে ধরলো। বহু ক্ষণ এই আলোকের খেলা চললো। অবশেষে এই আলোক  স্তিমিত হলো। কৌস্তুভ মণি এতো ক্ষন নীল আলো বিকিরণ করছিল। এবার আপডেট হওয়ার পর লাল আলো ছড়িয়ে দিতে লাগলো। এই লাল আলো আরো হাজার বছর ধরে বিকিরণ হবে। তারপর আবার নতুন আপডেট হবে। নতুন কোন রং বিকিরণ হবে। ওদের তিনজন আপডেট শেষ হওয়া মাত্রই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ল।

আনন্দ বাজার পত্রিকা : বিশেষ প্রতিনিধি  - কৈলাস মানস সরোবর ভ্রমণে গিয়ে ছয় জন অভিযাত্রী  তুষার ঝড়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল  নিখোঁজ অভিযাত্রীদের মধ্যে তিনজন ভারতীয় ও তিনজন রাশিয়ার ।চীন সরকার নিখোঁজ অভিযাত্রীদের খুঁজে বার করতে বিশেষ দল তৈরী করে। ভারত সরকারের বিদেশ দফতর বিশেষ চাপ দেয় তিন অভিযাত্রীকে খুঁজে বার করার জন্য। নিখোঁজ অভিযাত্রীদের মধ্যে কোলকাতার দুই জন যুবক আছে। তিনদিন বাদে  কৈলাস থেকে অনেক দূরে মানস সরোবরের তীরে তিন জন ভারতীয় অভিযাত্রী কে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ তাদের হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দেখা যায়  তুষার ঝড় শুরু হওয়ার পর কি হয়েছিল তা তাদের কিছুতেই মনে পড়ছে না। ডাক্তাররা মনে করছেন ভয়াবহ তুষার ঝড়ে তাদের স্মৃতি লোপ পেয়েছে। তবে তাদের তিন জনের হাতে একটি করে সোনার ত্রিভুজ আঁকা আংটি আছে দেখা যায়। এই ত্রিভুজ আঁকা আংটি কি ভাবে তাদের তিনজনের হাতে এলো এবং তারা তিনজন কৈলাস পর্বত থেকে অতদূরে মানস সরোবরের তীরে কিভাবে পৌছালো এই নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। কোলকাতার যুবক দুই জনের  আত্মীয় কাঠমান্ডু রওয়ানা দিয়েছেন । এই বিষয়ে আরো কিছু জানা গেলে পাঠকদের কাছে তা পুনরায় জানানো হবে।(শেষ)

No comments:

Post a Comment