Crss colum

Tuesday, January 8, 2019

আটলান্টিসের পাথর 6

খেলা যে এই ভাবে ঘুরে যাবে প্রফেসর বাগচী বুঝতে পারে নি।
আটলান্টিসের প্রবেশ দ্বারে যে পাথরের পাঁচিল ছিল সেটা খুলতে না পেরে প্রফেসর বাগচী তার রাশিয়ান মাফিয়া সঙ্গী দ্বারা বিস্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। অর্জুন তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। ওনাকে এই পাহাড়ে বিস্ফোরণ ঘটালে তুষার ধ্বসের বিপদ সম্পর্কে অবহিত করে । কিন্তু উনি তখন আবিষ্কারের নেশায় হিতাহিত জ্ঞান শূন্য।
বিস্ফোরক সেট করে যে মূহুর্তে
প্রফেসর বাগচী আদেশ দেবে ঠিক তখনই সকলকে বিস্মিত করে ঘরঘর শব্দের সাথে পাথরের দেওয়াল সরে গেল।ভিতরে একটা বিশাল লম্বা সুড়ঙ্গ।
 সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে একটা তীব্র  সার্চ লাইটের আলো এসে সকলের উপর পড়লো ।চোখ ধাঁধিয়ে গেল সকলের। তারপরেই লাল রঙের আলোর বিম এসে অস্ত্র ধারী তিন রাশিয়ান মাফিয়াদের কপালের  উপর পড়লো। কেউ কিছু বোঝার আগেই  তিন অস্ত্র ধারী মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। প্রত্যেকের কপালে ফুটো।
মাফিয়া তিনটি মারা যাওয়ার পর সার্চ লাইটের আলো নিভে একটা হালকা নীলচে আলো জ্বলে উঠলো।
এরপর ওদের অবাক করে একটা ছোট গাড়ীর মতো যান  হাওয়ায় ভেসে এলো।যানটি ওদের কাছটিতে এসে মাটি থেকে দুই ফুট উঁচু তে শূন্যে স্থির হয়ে গেল।যানটিতে বেশ কয়েকটি বসার আসন। যানটির নিচের বসবার আসনযুক্ত অংশটা ধাতুর তৈরি। উপরটা স্বচ্ছ কাঁচ  দিয়ে ঢাকা। ওদের কাছে এসে   কাঁচের ঢাকা টি সরে গেল। একটা যান্ত্রিক স্বর বলে উঠলো " সকলে আসন গ্রহণ করুন।"
ওরা তিনজন হাওয়ায় ভেসে থাকা যানটিতে উঠে বসলে ওপরের কাঁচের ঢাকা টি আবার আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে গেল।
যানটি চলতে শুরু করল। সুড়ঙ্গপথে যানটি প্রবেশ করা মাত্রই পিছনের পাথরের দেওয়ালটি পুনরায় বন্ধ হয়ে গেল।যানটি  প্রথমে ঢিমেতালে তারপর বেশ দ্রুত চলতে লাগলো।
সুড়ঙ্গপথ টি আলোকিত। পুরো পথ জুড়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বসানো। ওরা অবাক হয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো। প্রফেসর বাগচী অর্জুন ও সুমন কে এটা ওটা বুঝিয়ে দিতে লাগলেন। কিছুক্ষণ আগে যে তিনি ওদের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করছিলেন সেটা যেন ভুলেই গেছেন। আসলে এই ধরনের জ্ঞান পিপাসু মানুষ গুলো অন্য ধরনের হয়।এরা হয়তো সাময়িক বিদ্বেষ বশত কোনো খারাপ কাজ করে ফেলে আবার পরবর্তী কালে সেগুলো ওদের মনে চিরস্থায়ী রেখাপাত করে না।
যানটি সুড়ঙ্গের গোলক ধাঁধা পেরিয়ে এক বিশাল উন্মুক্ত স্থানে গিয়ে পড়লো । অনেক ওপরে  পাথরের ছাদ । নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর বিরাট বিরাট স্তম্ভ  ছাদটিকে ধরে রেখেছে। যানটি এখন যে জায়গা দিয়ে যাচ্ছে তার দুই পাশে কাঁচের তৈরি ঘরে চাষবাস হয়েছে। সূর্যের আলোর বদলে কৃত্রিম আলো ব্যবহার করা হয়েছে।যানটি আবার বেশ একটু ধীর গতিতে চলছে।যান টি যারা পরিচালনা করছেন তারা মনে হয় চায় যে এরা তিনজন সব কিছুই ভালো করে দেখুক।
প্রফেসর বাগচী বললেন ,"এই যে পাথরের ছাদ দেখছো আমার মনে হয় এর ওপরে রয়েছে মানস সরোবর। প্রত্যক্ষদর্শীরা কিছু মানুষ বলে থাকেন যে "রাতের অন্ধকারে কিছু উজ্জ্বল আলোক রশ্মি দেখা যায় যে মানস সরোবরের ওপরে এসে পড়ে। প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী রাত্রি বেলায় দেবতার দল মানস সরোবরের জলে স্নান করতে আসে। আমার ব্যক্তিগত মতামত এই যে কৈলাস পর্বতের এই প্রবেশ দ্বার এখানকার অধিবাসীরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করেন না ,মানস সরোবরের ভিতরে কোনো প্রবেশ দ্বার আছে ওদের যান সরাসরি কোনো অজ্ঞাত প্রযুক্তি র সাহায্য নিয়ে ঐ দ্বার দিয়ে এই গোপন জগতে প্রবেশ করে।"
সুমন বললো "দেখ অর্জুন , কৃষি জমি শেষ দূরে একটা দুটো করে বাড়ি ঘর দেখা যাচ্ছে।"
ওরা সবিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলো একটা দুটো করে স্থাপত্য দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি বাড়ি এক তলা। তবে ঘনঘন নয় । বরং একটু ছাড়া ছাড়া । প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি করে তাদের মতো উড়ুক্কু যান রয়েছে।ক্রমশ ওরা মূল নগরের মধ্যিখানে র দিকে চলেছে। এখানে ঘরবাড়ি একটু বেশি।
আরো কয়েকটি উড়ুক্কু যান পাশ দিয়ে হুশ করে চলে গেল। ভেতরে মানুষ আছে। কোথাও। কোনো নোংরা নেই। ঝকঝকে দিনের আলোর মতো চারিদিক।
এবার ওদের যানটি র গতি কমে এলো। সামনে একটি বিরাট আয়তনের বাড়ি দেখা যাচ্ছে। অর্জুন দের যানটি বিরাট বাড়িটার সামনে এসে থেমে গেল। ওপরের স্বচ্ছ ঢাকনাটা খুলে গেল।
যানটি থেকে  যান্ত্রিক স্বরে একটা নির্দেশ  এলো "প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করুন।"
ওরা সকলে যান থেকে নামলো। সামনের বাড়িটার কোনো জানালা দরজা নেই।। অর্জুন বললেন ,"এটি মনে হয় প্রশাসনিক ভবন। কিন্তু কোনো দরজা দেখা যাচ্ছে না। প্রবেশ করবো কিভাবে ?"
প্রফেসর বাগচী বললেন ,"চলো বাড়িটার দেওয়ালের সামনে গিয়ে দাঁড়ানো যাক।"
সবাই মিলে দেওয়ালের সামনে দাঁড়াতেই দেওয়ালে একটা ফুটো তৈরী হলো । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফুটোটা বড়ো হয়ে একটা দরজার আকার নিলো। ভিতর হতে একটি গম্ভীর শব্দ ভেসে এলো "স্বাগতম"।
এই শব্দটি যান্ত্রিক নয় । কোনো মানুষের।
ওরা ভিতরে প্রবেশ করে দেখলো একটা বিশাল লম্বা হলঘর। ঘরটির অপর প্রান্তে একটা সাদা পোশাকধারী পৌড় লোক দাঁড়িয়ে আছে। ওদের দেখে পৌড় মানুষ টি  এগিয়ে এসে বললো "আমি এই  নগরীর  প্রধান প্রশাসক। আমার পদের প্রশাসনিক নাম  ইন্দ্র। আমি প্রফেসর সুবিমল বাগচী, সুমন ও অর্জুন সবাইকে এই গুপ্ত নগরীতে স্বাগত জানাচ্ছি।"
সুমন বললো "আপনি আমাদের নাম জানলেন কিভাবে ?"
ইন্দ্র হেসে বললো ,"শুধু তোমাদের নয় , এই পৃথিবীর সব মানুষের নাম থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত সব তথ্য আমরা জানি। এছাড়া পৃথিবীতে প্রচলিত সব ভাষা জানি। "

ইন্দ্র একটু থেমে পুনরায় বললো ,"চলুন আপনারা আমাদের সম্মানিত অতিথি। যারা আমাদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে এই গোপন  রাজ্যের প্রবেশ দ্বার পর্যন্ত পৌঁছায় , আমরা তাদের কখনো নিরাশ করি না । অবশ্য তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আগে সংগ্রহ করে তবে ই এই গুপ্ত নগরীর রহস্য উন্মোচন করি। আমরা মনে করি জ্ঞান লাভ মানুষের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।তাই জ্ঞান পিপাসু দের তৃষ্ণা নিবারণ করি। এবারে চলুন আপনাদের ঘুরিয়ে দেখাই সব কিছু।"
ইন্দ্র একটা যন্ত্র বার করে কি সব সুইচ টিপলো।সাথে সাথেই একদিকের দেওয়াল সরে গেল । আরো একটি বড়ো ঘর রয়েছে দেখা গেল।
এই ঘরে অনেক মানুষ আছে।সকলেই ব্যস্ত। কম্পিউটারের মতো কিছু যন্ত্রের সামনে সবাই বসে কাজ করছে। তবে ঠিক কম্পিউটার নয় কারণ কোনো মনিটর নেই।তার বদলে অনেকটা হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে। তাতে বিভিন্ন রকমের চিত্র। কোনো জায়গায় উপগ্রহ থেকে তোলা পৃথিবীর মানচিত্র। সেই মানচিত্রটার যেখানে টাচ করা হচ্ছে সেখানটা আরো জুম হয়ে বড়ো হয়ে যাচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কম্পিউটার এর মধ্যে শুধু বিভিন্ন সংখ্যার ডিসপ্লে হচ্ছে।তার সাথে আরো জটিল কিছু ডিসপ্লে হচ্ছে।
ইন্দ্র বললো ,"এই জায়গাটা আমাদের কন্ট্রোল রুম বলতে পারেন। এখানে আমরা আমাদের সৃষ্টির উপর নজরদারি করি।"
প্রফেসর বাগচী বললো ,"সৃষ্টি বলতে কি বোঝাচ্ছেন আপনি ?"
ইন্দ্র বললো ," সৃষ্টি বলতে আমি পৃথিবীর মানুষের কথা বলছি।"
অর্জুন উত্তেজিত হয়ে বললো ," আমরা আপনাদের সৃষ্টি ? হোয়াট ডু ইউ মিন ?"
ইন্দ্র উত্তর দিলো "ইউ আর রাইট। তোমরা আমাদের সৃষ্টি।এসো তোমাদের আমাদের তথ্য ভান্ডারে নিয়ে যাই। সেখানে গেলে তোমরা সব বুঝতে পারবে।"
ইন্দ্র পুনরায় সেই  যন্ত্রটা তার পোশাকের ভিতর থেকে বার করে একটা সুইচ টিপে দিলো। একটা পাটাতন জাতীয় যান  দূর হতে ভেসে এলো। এসে ওদের কাছে থেমে গেল।ইন্দ্র পাটাতন  জাতীয় যানটির উপর উঠে দাঁড়িয়ে ওদের উঠে আসতে ইশারা করলো।সবাই উঠলে পাটাতন টি চলতে শুরু করলো। হাঁটার চেয়ে একটু জোরেই তবে বেশি জোরে নয়।
ইন্দ্র বললো "এই যানটি মাধ্যাকর্ষণ বিরোধী শক্তির সাহায্য নিয়ে চলে। এগুলো আমরা এক প্রশাসনিক বিভাগ থেকে অন্য প্রশাসনিক বিভাগে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করি।
আমাদের বিভিন্ন প্রকার যান আছে । আমরা সেগুলো আলাদা আলাদা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করি। আপনারা যে উড়ুক্কু যানে করে এলেন সেগুলো এই নগরীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। কিন্তু এই নগরীর বাইরে যাওয়ার জন্য আমরা অন্য বিশেষ যান ব্যবহার করি। সেগুলো তোমরা ইউফো বা উফো নামে জানো।ঐ দূরে তাকিয়ে দেখো একটা উফো রাখা আছে।"এই বলে ইন্দ্র দূরে হাত দেখালো।তার দেখানো দিকে সকলে তাকিয়ে দেখলো একটা বড়ো গোল যান মেঝে থেকে কয়েক হাত উঁচু তে ভেসে আছে।
প্রফেসর বাগচী বললো "কিন্তু আমরা তো জানি এগুলো এলিয়েনদের। আপনারা তো মানুষ। তবে কি আমরা এতদিন ভুল ধারণা পোষণ করেছি ?"

ইন্দ্র হেসে বললো "আপনারা সঠিক আন্দাজ করেছেন। আমরা আসলে এলিয়েন। এই যে মানুষের রূপে আমাদের দেখছেন এটা আমাদের আসল রূপ নয়। আপনারা যাতে ভয় না পান তাই এই রূপ আমরা নিয়েছি। আপনারা আমাদের আসল রূপ দেখুন।"
ইন্দ্র সেই যন্ত্র টি পোশাক হতে পুনরায় বার করে একটা লাল সুইচ টিপে দিলো।সাথে সাথেই ইন্দ্র সহ প্রতিটি মানুষের রূপ বদলাতে লাগলো। অবিলম্বে সকলে একটা অন্য ধরনের মূর্তি তে রূপান্তরিত হলো।রোগা  , গোল গোল কালো চোখ , চোখে কোন মণি নেই। শুধু কালো গভীরতা। নির্লোম শরীর। চামড়া ফ্যাকাশে।
ইন্দ্রের রূপ দেখে সুমন ও অর্জুন ভয় পেয়ে একদিকে সরে গিয়ে পাটাতন থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হল। কিন্তু প্রফেসর বাগচী দুজনকে ধরে নিলেন। ওনার মুখে ভয়ের লেশ মাত্র নেই।
ইন্দ্র আবার যন্ত্রের সুইচ টিপতে সকলে মানুষের রূপ ধারণ করলো।
  প্রফেসর বাগচী এবার বললো,"আমার একটা কৌতুহল ছিল। আমি বিভিন্ন গ্রন্থে পৌরাণিক সাম্ভালা নগরীর কথা   পড়েছি। এটাই কি সাম্ভালা ?"

ইন্দ্র বললো "আপনার অনুমান ঠিক। এই গোপন নগরীতে বহু যুগে বহু মানুষ এসেছেন।  প্রথম দিকে আমরা তাদের এমনি ফিরত পাঠিয়ে দিতাম। কিন্তু তারা লোকালয়ে ফিরে গিয়ে আমাদের কথা সকলকে  বলে বেড়াতো । তাতে আমাদের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হতো। তাই পরবর্তী কালে যে সব মানুষ এখানে এসেছে  তাদের  আমরা এখান হতে  ফিরত পাঠানোর সময়  বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের এখানকার স্মৃতি লোপ ঘটাই। তবে সেটা পূর্ণ মাত্রা র স্মৃতি লোপ নয়। তাই অনেক দিন বাদে তাদের স্মরণে ভাসা ভাসা আমাদের নগরীর কথা  মনে পড়ে।
তারা বিভিন্ন গ্রন্থে আমাদের এই গোপন নগরীর কথা লিখেছেন।
এই নগরীর কথা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থে 'সাম্ভালা' , হিন্দু ধর্মে 'পাতাল' , আবার ইউরোপীয় রা 'আটলান্টিস 'নামে চেনে। ঐ যে আমাদের তথ্য ভান্ডার বা ইতিহাস ঘর  এসে গেছে। এখানে আপনাদের সব কৌতুহলের নিরসন হবে।"
ওদের পাটাতন অন্য একটি কক্ষে প্রবেশ করলো। এই কক্ষটিও বিশাল।  তারা যেখান দিয়ে   যাচ্ছে  তার দুই পাশে  বিরাট চৌবাচ্চা। চৌবাচ্চা গুলো এতো বড়ো যে শেষ প্রান্ত দেখা যাচ্ছে না। চৌবাচ্চা গুলো সবুজ রঙের ঘন তরলে পরিপূর্ণ।   আর ঐ ঘন সবুজ তরলের মধ্যে ছোট বড়ো বিভিন্ন ধরনের স্বচ্ছ পাথর ভেসে আছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের এই যে পাথর গুলো ঐ ঘন তরলে নড়াচড়া করছে।
বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার  পর পাটাতন একটা জায়গায় থেমে গেল।ওরা নেমে একটা ছোট  কক্ষে প্রবেশ করলো। ওরা প্রবেশ করে দেখলো অল্প কিছু জন এই জায়গায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। একজন এগিয়ে এসে ইন্দ্র কে মাথা ঝুঁকিয়ে অভিবাদন জানালো। ইন্দ্র বললো "ইনি আমাদের বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বিশ্বকর্মা। ইনি আপনাদের সব কিছুই বুঝিয়ে বলবেন। "
বিশ্বকর্মা ওদের এক জায়গায় বসালো।
বিশ্বকর্মা বললো "প্রথমেই বলে নিই আমরা মানুষ নই। আলাদা জাতি। আমরা অন্য গ্রহ থেকে যখন পৃথীবিতে এসেছিলাম তখন পৃথিবীতে  ডাইনোসরের যুগ । সেজন্য প্রথমে আমরা  সমুদ্রের মাঝখানে একটা দ্বীপের মধ্যে সভ্যতা গড়ে তুলি। সেটার নাম দিই 'আটলান্টিস'। "(ক্রমশ)

No comments:

Post a Comment