Crss colum

Sunday, November 17, 2019

আরশোলা

ছাদের একদম কিনারায়  তিন্নি দাঁড়িয়ে আছে। এই সুযোগ। মুন্নি র প্রেতাত্মা প্রতিশোধের স্পৃহা য় পাগল। রাহুল কে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে তিন্নি।এই সুযোগ, শুধু একটা ধাক্কা দেওয়া। কিন্তু তিন্নির দিকে হাওয়ায় ভেসে এগিয়ে যেতেই তিন্নি আচমকা পিছন ফিরে মুন্নির প্রেতাত্মার দিকে তাকিয়ে বললো " ও তুই ? আত্মহত্যা করার পরেও এখানে ঘুরঘুর করছিস ? লজ্জা করে না ?"
মুন্নি খানিকটা হতচকিত হয়ে উত্তর দিলো " তুই আমার জীবন থেকে রাহুল কে কেড়ে নিয়েছিস । তোকে আজ ছাড়বো না।"
তিন্নি বললো " বাজে বকিস না। রাহুল তোকে নয় আমাকে ভালোবাসে।"
মুন্নি আরো একটু তিন্নির দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো " ওসব জানি না।আজ তোর শেষ দিন। আমার মতো ছাদ থেকে পড়ে আজ তোর মৃত্যু হবে। আমি এখন অশরীরী আত্মা ।তুই আমাকে আটকাতে পারবি না।"
তিন্নি বললো " তাই বুঝি ? তোর যম আমার পকেটে আছে।এই নে।"
এই বলে তিন্নি তার জিন্সের প্যান্টের পকেট থেকে কি একটা বের করে মুন্নির প্রেতাত্মার দিকে ছুঁড়ে দিলো।
মুন্নির প্রেতাত্মা জিনিসটার দিকে তাকিয়ে " বাবাগো ,মাগো ,বাঁচাও ,বাঁচাও " এই সব চিৎকার করতে করতে দৌড়ে গিয়ে ছাদের এক কিনারায় গিয়ে মিলিয়ে গেলো।

তিন্নি একগাল হেসে মুন্নির প্রেতাত্মার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া প্লাস্টিকের তৈরি আরশোলা টি তুলে পকেটে রেখে দিলো।

ভূত হয়ে গেলেও মুন্নির এখনো জীবিত থাকার সময়ের আরশোলার উপরের ভয় কাটেনি।

No comments:

Post a Comment